কমলগঞ্জে নিরাপদ পরাগায়ন বিষয়ে দু’দিনব্যাপী মধুচাষীদের প্রশিক্ষণ শুরু
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2023/11/Kamalgonj-Pic-1-2.jpg?fit=800%2C445&ssl=1)
প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ কমলগঞ্জে নিরাপদ পরাগায়ন বিষয়ে ২ দিনব্যাপী মধুচাষীদের প্রশিক্ষণ শুরুহয়েছে। সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড এর আয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে শুক্রবার বেলা ২টায় এ কর্মশালা শুরু হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জয়ন্ত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ও সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড এর সিনিয়র ম্যানেজার কৃষিবিদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (পিএইচডি) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি অফিসারা বিশ্বজিত রায়, কমলগঞ্জ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি, লেখক-গবেষক আহমদ সিরাজ, উপজেলা মধুচাষী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ বাবুলসহ প্রায় ৩০ জন মধু চাষী অংশগ্রহন করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৌ বিশেষজ্ঞ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মধুর গুণগত মান ও অধিক পরিমাণে উৎপাদনের জন্য এখানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গবেষণা চালানো হচ্ছে। মৌমাছির মধ্যে পোলেন নামক এক ধরনের প্রোটিন আছে, যা নিয়মিত খেলে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না। পোলেন, প্রপোলিস এ মূল্যবান উপাদানগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রতিকুল পরিবেশে মধুর উৎপাদন যেন হ্রাস না পায় এবং রফতানিযোগ্য মধুর গুণগতমান যেন ঠিক থাকে, সে ব্যাপারেও গবেষণা চলছে। প্রপোলিস একটি ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ভালো মানের প্রসাধনী তৈরিতেও প্রপোলিস ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রপোলিস নিয়ে উচ্চতর গবেষণা চলছে। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় মৌমাছি পালন করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবিকা নির্বাহের সুব্যবস্থা করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, কৃষিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হলে সন্ধ্যার দিকে করতে হবে।
উল্লেখ্য, কমলগঞ্জ উপজেলায় মধু চাষের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ খাতে বেকারত্ব দুরীকরণসহ প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে আর আর্থিকভাবে সাবলম্বী হয়ে উঠবে বিপুল সংখ্যক লোক। কমলগঞ্জের মধুচাষীদের আরও দক্ষ করে গড়তে এ উপজেলায় সরকারিভাবে একটি মধু চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা জরুরী বলে জানিয়েছেন মধুচাষীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন