কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচরিতা, অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা বড়লেখায় পরীক্ষা না দিয়েই ফিরে গেল আড়াইশ’ পরীক্ষার্থী !

July 18, 2016,

বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখার দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলামের স্বেচ্ছাচারিতা, অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার শিকার হলো এবার ষষ্ঠ শ্রেণীর আড়াইশ’ পরীক্ষার্থী। রোববার পূর্ব নির্ধারিত ইসলাম ধর্মশিক্ষা বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার পর দেড়ঘন্টা অপেক্ষা করেও রচনামুলকের প্রশ্ন না পাওয়ায় ক্ষুব্দ পরীক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বাড়ি ফিরে যায়। প্রধান শিক্ষক নিজেকে স্বচ্ছ দাবী করলেও অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় তার স্কুলের কতজন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হলেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় তার খুঁটির জোর নিয়ে অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক সুত্রে জানা গেছে, বড়লেখায় নিু মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা ১২ জুলাই থেকে শুরু হয়। ১৭ জুলাই রোববার সকালের শিফটে উপজেলার দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ইসলাম ধর্ম বিষয়ের আড়াইশ’ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সকাল ১০টা থেকে ১০ টা ৪০ পর্যন্ত ৪০ মিনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শেষে রচনামুলক প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষার্থী হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দেড়ঘন্টা অপেক্ষা করেও প্রশ্ন না পাওয়ায় ক্ষুব্দ পরীক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বাড়ি ফিরে যায়। সুত্র জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে কোন পরীক্ষা আয়োজনের জন্য পৃথক পরীক্ষা কমিটি ও উপ-কমিটি থাকার নিয়ম রয়েছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় এসব কমিটির সদস্যরা দেখভাল করেন। কিন্ত দেড় হাজার শিক্ষার্থীর এ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলাম আর্থিক ফায়দা হাসিলের জন্য একাই এসব নিয়ন্ত্রন করেন। তাই নানা জটিলতার সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থীরা হয়রানীর শিকার হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলাম জানান, প্রশ্নপত্র দেরিতে আসায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ২৫৩ পরীক্ষার্থী ইসলামধর্ম বিষয়ের রচনামুলকের পরীক্ষা দিতে পারেনি। পরবর্তীতে নেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা পরিচালনার জন্য আলাদা পরীক্ষা কমিটি থাকার নিয়ম রয়েছে বলে তার জানা নেই। তিনি নিজেকে স্বচ্ছ দাবী করলেও অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর কতজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব জানান, কয়েকজন অভিভাবক তাদের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছেলে-মেয়েরা রোববার নির্ধারিত বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে ফোনে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কমিটি থাকার বিধান রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com