কুলাউড়া-জুড়ী ও বড়লেখায় তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুতে ঢিলেমি
কুলাউড়া অফিস॥ উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুতে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এতে হতদরিদ্র মানুষ যথাসময়ে ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌলভীবাজারের জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে শুধু কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা গেছে। উপকারভোগী মানুুষের তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় অন্য উপজেলাগুলোতে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পল্লি রেশনিং কার্যক্রমের আওতায় কুলাউড়ায় ১১ হাজার ৭৫০, জুড়ীতে ৫ হাজার ও বড়লেখায় ৭ হাজার ২৯২টি হতদরিদ্র পরিবার এই চাল পাবে। মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এ কর্মসূচি চালু থাকবে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ইউনিয়নের উপকারভোগী নির্বাচন কমিটির সভাপতি হলেন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সদস্যসচিব সংশ্লিষ্ট ইউপির সচিব। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ কমিটির সদস্য। এ ছাড়া যাচাইবাছাই কমিটির সভাপতি হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্যসচিব উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক।
বড়লেখা সদর ইউপির চেয়ারম্যান শোয়েব আহমদ বলেন, ‘ঈদের পরে উপকারভোগীদের তালিকা পাঠানোর ব্যাপারে চিঠি পেয়েছি। এরপর প্রত্যেক ওয়ার্ডের সদস্যদের কাছে তালিকা চেয়েছি। দুই-চার দিনের মধ্যেই এ কাজ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোনাব আলী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ৮৩৫ হতদরিদ্র পরিবার খাদ্য সহায়তা পাবে। এসব পরিবার নির্বাচন করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই তালিকা জমা দেব।’ জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কুলাউড়ার খাদ্যনিয়ন্ত্রক আবদুন নূর বলেন, কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু বরমচাল ও ভাটেরার উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। জুড়ীর ছয়টি ইউনিয়নের তালিকা পাওয়া গেছে। ২৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা কমিটির সভায় তা চূড়ান্ত হবে। আর বড়লেখার ১০টি ইউনিয়নের তালিকা এখনো মেলেনি। তবে তিন উপজেলাতেই ডিলার নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। উপকারভোগী মানুষের তালিকা চূড়ান্ত হলেই এ কর্মসূচি চালু হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন