কয়েকদিনের দাবদাহের দাপটে মৌলভীবাজারে জনজীবন বিপর্যস্থ
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2023/05/The-public-life-in-Moulvibazar-is-disrupted-due-to-the-violence-of-the-past-few-days.jpg?fit=800%2C450&ssl=1)
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে দাবদাহ। একইভাবে দেশের তিনটি বিভাগের পাশাপাশি ১৯টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমের দাপট নাজেহাল জনজীবন। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষ।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুসারে মৌলভীবাজারসহ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগসহ ঢাকা, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।
সোমবার ৮ মে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদফতর জানায় দুপুর ১টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ৩টায় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছাড়িয়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই জেলার তাপমাত্রার পারদ ৩০ থেকে ৩৭ ডিগ্রিতে বিরাজ করছে।
অপরদিকে প্রচণ্ড তাপদহে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। আবার কিছু মানুষ অনেকটাই কাজের চাপে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তি পেতে গাছ বা বড় বড় ভবনের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। অনেকে রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ও গামছা ব্যবহার করছেন।
সোমবার দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষদের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের জীবনে তীব্র গরমের প্রভাব পড়েছে অত্যধিক। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের।
মৌলভীবাজার শহরের ভ্যান চালক কাশেম মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে এতো রোদ ও গরম পড়ায় আমাদের অবস্থা খুব খারাপ যাচ্ছে। ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছি না। কী আর করবো। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।
সদর উপজেলার আজমেরু গ্রামের কৃষক রাজু মিয়া বলেন, বোরো ধান কাটতে আসা শ্রমিকেরা তীব্র এ গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেন না। খুব ভোরে মাঠে কাজে যেতে হয়। দুপুরে আগেই গরমের কারণে বাড়ি ফিরতে হয়।
অফিস বাজার এলাকার বাচ্চু মিয়া বলেন, এই রোদে অবস্থা খুবই খারাপ। বাড়ি থেকে বের হলেই বিপদ। কিন্তু সংসারের খরচাপাতি তো গরম বুঝেনা। যাই হোক অনেক কষ্ট করে বাজারে এলাম। বাজার করেই চলে যাব, আর দেরি করব না।
ইউটিউবে দেখুন পাতাকুঁড়ির ভিডিও গ্যালারি
কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা , মাড়াই জাড়াই এক সাথে হচ্ছে
চা শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব
কাউয়াদিঘি হাওরে কৃষকদের নিয়ে বোরো ধান কর্তন করলেন জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম
মন্তব্য করুন