গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড হলুদ তরমুজ চাষ করে আব্দুল মতিনের সাফল্য

বিকুল চক্রবর্তী॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখোলা এলাকার কৃষক আব্দুল মতিন এক মাঠে তিন জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং লালতীরের সার্বিক সহযোগিতায় তার সাফল্য দেখে খোদ কৃষি বিভাগ আসে পাসের মানুষ বিষ্মিত। হাইব্রিড তরমুজ এলাকার অনান্য কৃষকদের মধ্যেও সারা জাগিয়েছে। আব্দুল মতিনের এ বাম্পার ফলনে এই হাইব্রিড বীজ অনান্য উপজেলায়ও বিস্তৃত করবেন বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী।
রবিবার ২৫ জুলাই বিকেলে পাত্রখোলায় সরেজমিনে দেখাযায়, একই মাঠে একটি কালো রং এর একটি হলুদ রং এর আরকেটি সবুজ ডোরাকাটা রং এর। যার একটির নাম ব্ল্যাক বেবি, একটি মধুমালা ও অপরটি লালতীর এর ল্যন ফাই জাতের হলুদ তরমুজ।
এর আগে শনিবার বিকেলে আব্দুল মতিনের তরমুজ ক্ষেতের ফলাফল পরিদর্শনে আসেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক, কৃষি বিভাগের অনান্য কর্মকর্তাসহ এলাকার কৃষকগণ।
এ ব্যাপারে কৃষক আব্দুল মতিন জানান, তার দুই বিঘা জমিতে এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করেন। তিন জাতের মধ্যে হলুদ রঙের লালতীর এর হাইব্রিড, ল্যন ফাই জাতটি সর্বাধিক ফলন হয়েছে। ফলের ওজন এবং আকারে সবাইকে আকর্ষণ করেছে। শুধু আকার নয় এর স্বাদ অসাধারণ। মধুর মতো মিষ্টি। বাজারে এর দরও ভালো পাচ্ছেন। তিনি জানান এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করতে এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। মাঠে যে পরিমাণ ফলন রয়েছে এতে তিনি আরও দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী।
তিনি আর ও জানান, ল্যন ফাই জাতটির ফলন অন্যান্যদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি এবং ফলের ওজন এক একটি ৩ থেকে ৪ কেজি এবং ফলে মিষ্টির পরিমাণ ও অন্যান্য জাতের চেয়ে অনেকগুণ বেশী। তাই আগামিতে তিনি, ব্যাপকভাবে এই জাতের তরমুজ চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেণ। ফলন দেখতে তার জমি পরিদর্শন করেন স্থানীয় আশপাশের কৃষকরা। তারাও আগামীতে এ জাতের চাষ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা এটি চাষে কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়ার অনুরোধ করনে।
এই প্রসঙ্গে কথা হয় এই প্রদর্শনীর বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড এর লিমিটেড এর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তীর সাথে। তিনি জানান, হাইব্রিড, ল্যন ফাই জাতটি সবুজ ডোরাকাটা ও ভিতরে হলুদ রঙ্গের শাসযুক্ত, অধিক মিষ্টি। উত্তম পরিচর্যায় একেকটির তরমুজ এর ওজন হয়, ৫ থেকে ৬ কেজি। সারা বছর ব্যাপী, মাচায় ও মাঠে চাষ করা যায়। এ ফলের পরিপক্বতার সময় আসে ৬৫ থেকে ৭০ দিনে।
জাতটি চাষ করতে প্রতি শতকে বীজের পরিমাণ লাগে মাত্র ১ গ্রাম। উত্তম পরিচর্যাতে একরে ফলন হয় ৩০ থেকে ৩৫ টন। কৃষকরা উপযুক্ত দাম পেলে এই জাতগুলো চাষে দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, এ প্রদর্শনীতে তিন জাতের বীজ লাগানো হয়েছে এর মধ্যে অধিক ফলন ও ফলের মিষ্টতার দিক থেকে হাইব্রিড খধহ ঋবর ল্যন ফাই জাতটির ফলন খুবই ভালো হয়েছে । তিনি বলেন, জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও এই জাত গুলোর।
মন্তব্য করুন