ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ে চালাবিহীন ঘরে পাঠদান

May 12, 2016,

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের চালা ও বারান্দার টিনসেড উড়িয়ে নেয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ে চালা বিহীন কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। ২২ এপ্রিল রাতের ঘুর্ণিঝড়ে কুলাউড়া উপজেলার ১১ নম্বর শরীফপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাংশের চালা উড়ে যাওয়ার পর এভাবেই পাঠদান চলছে।

001
সরেজমিন ১১ মে বুধবার দেখা যায়, সীমান্তবর্তী এলাকায় মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে চালা বিহীন কক্ষে পাঠদান দিয়েছেন শিক্ষক। প্রখর রোধেও বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন। এমপিওভূক্ত বিহীন বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যালয় ভবনের ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষ ও বারান্দার চালা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ফলে অর্থাভাবে টিনসেডের চালা মেরামত করতে না পারায় খোলা আকাশের নিচেই কক্ষে পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, ২০০৩ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই তিনি অনেক প্রতিকূল সমস্যা মোকাবেলা করে বিদ্যালয়ের হাল ধরে রেখেছেন। এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে আড়াইশত শিক্ষার্থীর জন্য সাত জন শিক্ষক নামে মাত্র সম্মানীতে পাঠদান করছেন। পূর্বে জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় থাকলেও বিগত বছর থেকে এটি উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি এমপিভূক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরাও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। এমপিওভূক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোহাগ মিয়া বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকার কারনে মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি অবহেলিত রয়েছে। অথচ তিলকপুর, নিশ্চিন্তপুর, সোনাপুর, ইটারঘাট, কালারায়েরচর, দত্তগ্রাম, মনোহরপুর, পলকীছড়া, মানগাঁও সহ দশ বারোটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে লেখাপড়া করছে। কিন্তু ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অর্থাভাবে মেরামত করতে না পেরে এভাবেই চালা বিহীন উন্মোক্ত কক্ষে পাঠদান দেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com