জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর : রাতে মৌলভীবাজারের কোনাগাঁওয়ে দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার॥ বুধবার রাত ১০টা ১ মিনিটে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকরের পর ১০ টা ৪০ মিনিটে পুলিশের দু’টি গাড়ি ও তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।ত সোয়া ১২টায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের বাড়িতে রিপনের মরদেহ পৌছায়। কিছু সময় রিপনের লাশ আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসিকে দেখার জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। পরে রিপনের লাশ গোছল শেষে কাপন পড়ানো হয়। রাত ১টা ৪০ মিনিটে পুলিশ পহারায় কোনাগাঁও ঈদগাহ মাঠে নামাজে যানাজা শেষে পার্শবর্তী কোনাগাঁও জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। প্রায় ৪ থেকে ৫শ মুসল্লির উপস্থিতিতে নামাজে যানাজা পড়ান মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম। কুলাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ শামসুদোহা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় বাড়ির ২ কিলোমিটার আশপাশে গনমাধ্যম কর্মী সহ বাহিরের কাউকে যেতে দেয়নি পুলিশ।
রিপন ৪ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ইউসুফ আলী ও মাতা শেলি বেগম।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র:) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এতে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি আব্দুল হান্নান, জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদ-াদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দাল নামে দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন।
বুধবার রাতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আব্দুল হান্নান ও বিপুলের এবং সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন