জুড়ীতে আলহাজ্ব এম এ মুমীত আসুকের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালন

November 26, 2016,

কুলাউড়া অফিস॥ জুড়ী উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ মুমীত আসুকের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার পালন করা হয়েছে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল বিজিবি ক্যাম্প চত্বরে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব শফিক আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মরহুমের স্ত্রী গুলশান আরা মিলি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জাকির হোসেন কালা, জাহাঙ্গীর আলম, পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আদর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির, উপজেলা দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব তাজুল ইসলাম (তারা মিয়া), উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী আয়াজ উদ্দিন, আব্দুল কাদির দারা, ফজলুর রশীদ (বজলু মেম্বার), আব্দুল লতিফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলম জলিল, উপজেলা তরুণলীগের আহবায়ক গোলাম রব্বানী চৌধুরী, জায়ফরনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের  সাবেক সভাপতি জুয়েল রানা, শাহাবুদ্দিন সামছু প্রমুখ।
জুড়ী উপজেলা পরিষদের ২ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম. এ মুমীত আসুক ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর এ দিনে তিনি জুড়ীবাসীকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। আলহাজ্ব এম এ মুমীত আসুক ১৯৬৪ সালে মোজাহিদ বাহিনীতে যোগ দিয়ে ৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা ঘোষণা করলে মুমীত আসুক তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অপরাধে কারা বন্দি হন। কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করে জুড়ী অঞ্চলে আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন এবং ৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন। মুক্তিযুদ্ধের ৪নং সেক্টরের রানী বাড়ি সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত একাধারে ১৭ বছর পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ইং সালে জুড়ী উপজেলা গঠনের পিছনে মুমীম আসুকের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। ২০০৯ সালে জুড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন এবং ২০১৪ সালে ২য় বারের মত উপজেলা নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমী ডিগ্রী কলেজ। যা ছিল জুড়ীবাসীর উচ্চ শিক্ষার একমাত্র কারখানা। সেইসাথে তাঁর পিতার নামে এম এ মুছাওয়ীর দাখিল ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তাঁরই একান্ত প্রচেষ্টায় জুড়ীতে এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রী পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন এবং জুড়ীতে প্রথম মিড ডে চালু হয়। প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১১ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি ছিলেন ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত কর্মী। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত হয়ে আমৃত্যু পর্যন্ত জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com