জুড়ীর নয়াগ্রাম-শিমুলতলা দাখিল মাদরসার আয়াকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান কর্মসূচি পালন
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2023/06/Students-hold-sit-in-program-demanding-permanent-expulsion-of-Nayagram-Shimultala-Dakhil-madrasa-nanny-of-Juri.jpg?fit=800%2C450&ssl=1)
হারিস মোহাম্মদ॥ জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম-শিমুলতলা দাখিল মাদরাসার আয়া তকলিমাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে রোববার ১১ জুন সকাল ৯ টায় মাদরাসা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।
অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে বক্তব্য রাখে মাদরাসার ছাত্র জুমন আহমদ, আমন উল্লাহ, শাওন আহমেদ, সুলেমান আহমদ, মাহফুজ হোসেন, ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার, বিউটি আক্তার প্রমুখ।
ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, আমাদের মাদরাসার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি আয়া মোসাম্মদ তকলিমা বেগমের আচার-আচরন খুবই খারাপ। তার ব্যবহারে খুবই অতিষ্ট। মাদরাসার সভাপতি সুপার ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অশোদাচরণ করেন।
মাদরাসাকে ঘটনাস্থল উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ও বিভিন্ন দপ্তরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করে। তাছাড়া তকলিমা বেগম ও তার স্বামী মহিউদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদরাসার সুনাম ক্ষুন্ন সম্পর্কিত ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় ঐতিহ্যবাহী নয়াগ্রাম-শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুনাম, সুখ্যাতি দারুন ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
তকলিমা বেগমকে মাদরাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর ২১ মে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করার পরও মাদরাসার কমিটি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
তাই আজ আমরা আয়া তকলিমাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছি। তকলিমাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন-কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচী চলার পর মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম ও মাদরাসার সহকারি সুপার মোঃ ওয়াসিক উদ্দিন এসে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আয়া তকলিমার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে যায়।
উল্লেখ্য নয়াগ্রাম-শিমুলতলা মাদ্রাসার আয়া তকলিমা বেগম বাদী হয়ে শিমুলতলা গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে জুমন মিয়ার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি পিটিশন মামলা ( নং- ১৯/ ২০২৩ ইং) দায়ের করেন।
শ্লীলতাহানির স্থান মাদরাসায় উল্লেখ করায় বিভিন্ন দপ্তর থেকে তদন্ত টিম আসতে থাকে। এতে মানুষিক চাপসহ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পরতে হয় বিড়ম্বনায়। অনেক শিক্ষার্থী মাদরাসায় আসতে লজ্জাবোধ করে।
পরে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ২৭ ধারার বিধান মতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় খালাস করে দেন।
মন্তব্য করুন