জুড়ীর শিমুলতলা মাদ্রাসা কমিটির নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা-উত্তেজনা

January 28, 2017,

কুলাউড়া অফিস॥ মৌলভীবাজারের জুড়ীর নয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে। অদৃশ্য কালো হাতের ইশারায় ইতিপূর্বে দুইবার নির্বাচন স্থগিত হয়। তফশীল অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠানের এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মনোনিত সদস্যদের ঘোষণা দেয়ার ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন পদে মনোনিত ৫ সদস্য ২৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ইউএনও বরাবরে আবেদন করেছেন। নির্বাচন বানচালের অপতৎপরতায় অভিভাবক মহলে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিভাবক সদস্য নন এমন ব্যক্তিকে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করার হীন চেষ্টার অংশ হিসেবে খোড়া অজুহাতে নির্বাচন স্থগিতের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি হাবিুবর রহমান অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদরাসাটি উপজেলার একমাত্র বিজ্ঞান বিভাগ চালু অন্যতম আধুনিক বিদ্যাপিট। মাদরাসার সর্বশেষ ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ২০১৬ সালের ৩০ জুন শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পুনরায় নির্বাচনের জন্য সকল প্রক্রিয়া শেষ করে জুড়ীর ইউএনও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমানকে প্রিসাইডিং অফিসার নিযুক্ত করেন। তিনি ৩০ মে নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফশীল অনুসারে ১৫ জুন নির্বাচনের তারিখ চুড়ান্ত হয়। কিন্তু প্রভাবশালী অদৃশ্য কালো হাতের ইশারায় ২০ জুন প্রিসাইডিং অফিসার অব্যাহতি নিলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর ০৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে সভাপতি করে ৪ সদস্যের এডহক কমিটি অনুমোদন করে। শিক্ষাবোর্ড সেই এডহক কমিটিকে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা কৃষি অফিসার দেবল সরকারকে প্রিসাইডিং অফিসার নিযুক্ত করে ১০ জানুয়ারি পুনরায় নির্বাচনী তফশীল ঘোষিত। ঘোষিত তফশীল অনুসারে ২০ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখে ৩জন অভিভাবক সদস্য, ১জন প্রতিষ্ঠাতা, ১জন দাতা সদস্য, ২জন শিক্ষক প্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। প্রত্যাহারের দিন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিতদের নাম ঘোষনার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে প্রিসাইডিং অফিসার তাদের নাম ঘোষণা করেননি। শুধুমাত্র এবতেদায়ী শাখায় ৩ প্রার্থীর ১জন অভিভাবক সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় নির্বাচনের জন্য বৈধ ২ প্রার্থী বাকী অবশিষ্ট থাকেন। ৩১ জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন নিয়ে অভিভাবক মহল সন্দিহান। প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেরা কৃষি অফিসার দেবল সরকার জানান, ৩১ জানুয়ারী নির্বাচনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে নির্বাচনের সকল কর্মকান্ড স্থগিত রেখেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com