জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির বাসায় দু’দফায় হামলার অভিযোগ
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2016/05/4-2.jpg?fit=800%2C445&ssl=1)
জুড়ী প্রতিনিধি॥ জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনির বাসায় সোমবার রাতে দু’দফা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটা তাদের দলীয় কোন্দল বলে জানিয়েছে জুড়ী থানা পুলিশ। তবে ২৪ মে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোন পক্ষই এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করেনি।
জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি জানান, জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান গুলশান আরা মিলির দুই দেবর ও প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মুমিত আসুকের ভাই এমএ মুজিব মাহবুব ও হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোঈদ ফারুকের নেতৃত্বে ৬-৭ ব্যক্তির একটি দল সোমবার ২৩ মে প্রথমে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় এবং দ্বিতীয় দফা রাত দেড়টায় দা লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে তার বাসার গেইটের বাইরে ভাংচুর করেন। বিষয়টি তিনি জুড়ী থানা পুলিশ ও বিজিবিকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এমএ মুজিব মাহবুব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে আমি নাকি বাধা দিচ্ছি। আমি অনেক বড় নেতা হয়ে গেছি। সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিয়ে দুই ভাই আমাকে কেটে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি দেন । হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে এমএ মুজিব মাহবুব মোবাইল ফোনে জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। প্রশাসনকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জুড়ী টিএন খানম একাডেমি ডিগ্রী কলেজের এক ছাত্রীর ইভটিজিং মামলা সংক্রান্ত বিষয় সমাধান করে দেয়ার কথা বলে সে ওই ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই মেয়র মা তাদের কাছে বিচার প্রার্থী হলে, আমার বড় ভাই তাকে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অফিসে ডাকেন। কিন্তু সে আসেনি। তাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ভাইস চেয়ারম্যান বাসা থেকে দা নিয়ে আমাদের কেটে ফেলার জন্য বের হয়।
হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোঈদ ফারুক মোবাইল ফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অনেক অভিযোগ। এলাকার জনগণ বিক্ষুব্ধ হলে এই ঘটনা ঘটে।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শামসুল আলম জানান, তারা দু’পক্ষ অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় পরস্পরকে গালিগালাজ করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। ২৪ মে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।
মন্তব্য করুন