টাকা পরিশোধ করে শেষ রক্ষা আবুল বাসার : মেশিনারীজ ও ঘরের আসবাবপত্র লুটে নেয় পাওনাদার

September 20, 2016,

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ দুই লক্ষ টাকা ধার নিয়ে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করে শেষ রক্ষা করতে পারেনি মোঃ আবুল বাসার। ঋণের মুল ধন দুই লক্ষ টাকা না পাওয়াতে শেষ পর্যন্ত কারখানার মেশিনারীজ, ঘরের ব্যবহারকৃত আসবাবপত্র লুটে নেই পাওনাদাররা। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ স্থানীয় ভাবে সমাধানের পরামর্শ দেয়।

স্থানীয় ভাবে সমাধান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আবুল বাসার মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্রেট ২নং আমলী আদালতে মো. আনোয়ার মিয়া (৪০),সাচ্ছু মিয়া (২৮) ও কালাম মিয়া (৫৫) কে নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে গত ১৮ আগষ্ট মামলা(১৯৮/১৬) দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে আবুল বাসার জানান, তার মুসলিমবাগ এলাকায় জনতা বেকারী নামক একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মুলধনের প্রয়োজনে ২০১১ সালে পাশের ভিআইপি বেকারীর মালিক আনোয়ার মিয়ার কাছ থেকে মাসিক ৮হাজার টাকার লাভের ভিত্তিতে দুই লক্ষ টাকা ধার নেন। এ পর্যন্ত শুধু লাভ ৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বর্তমানে ব্যবসায় অবস্থা ভালো না থাকায় তিনি লাভ দেওয়া বন্ধ করে দেন।

২৪ জুলাই শ্বশুর মারা যাওয়ায় এবং আমার স্ত্রী ৯ মাসের অন্তসত্তা হওয়ায় ঘরের ব্যবহারী মালমাল ও আসবাবপত্র নিয়ে একটি পিকাআপ যোগে আমার বাড়ী বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া যাওয়ার প্রক্ষালে উলেøিখত বিবাদীগণ জনতা বেকারীর সামন থেকে পিকাআপে সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় বিবাদীরা আমার জনতা বেকারীতে ঢুকে বিস্কুট তৈরীর বিভিন্ন মেশিনারী লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়কক্ষতি হয়। পরে তিনি থানায় অভিযোগ দিলে থানা থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়ে এবং পুলিশের নির্দেশে লুটকৃত মালামাল স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় দেওয়া হয়। পুলিশের গঠিত কমিটি এর কোন সুষ্ট সমাধান বা এর কোন সুরাহা হয়নি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে পুলিশের পরামর্শে কোটে মামলা করেন। এ ঘটনায় বাদি আবুল বাসার আর্থিক ভারে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে অর্থ অভাবে অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর ভারে জীবন যাপন করছেন বলে জানান।

মামলা দায়ের পর আদালত ঘটনার বাদির মামলার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ও সুনিদির্ষ্ট কারণ উদঘাটন করে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উল্লেখিত আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬নং আশিন্দ্রোন ইউনিয়ন পরিষদকে নিদের্শ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে আদলতে নিদের্শ পাওয়ারপর স্থানীয়  ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২১ আগষ্ট চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসার বর্ধন বাদীকে ৩১ আগষ্ট সকাল ১১ টায় সাক্ষীসহ ইউনিয়র পরিষদের হাজির হওয়ার নিদের্শ দেন। আবুল বাসার ইউনিয়নের নির্দেশ পেয়ে তিনি সাক্ষীসহ হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তবে  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসার বর্ধন ও ইউপি সচিবকে কয়েকবার মোবাইল ফোনে চেষ্ঠা করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com