প্রশ্ন পত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মৌলভীবাজারে একজনকে আটক করেছে পুলিশ
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2017/02/DSC03312.gif?fit=800%2C445&ssl=1)
স্টাফ রিপোর্টার॥ চলতি এসএসি পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থেকে মুন্না আহমেদ নান্নু নামের কলেজ পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেল ৫টায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বড়লেখা থানার দাসের বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে বড়লেখা থানার মাইজগ্রাম গ্রাম এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) খন্দকার আশফাকুর রহমান, ডিবি ওসি মোঃ মারুফ হোসেন।
প্রেসবিফিংয়ে জানানো হয় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ ঢাকার হেডকোয়ার্টার্সের সহযোগীতায় গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী ফেসবুকে একটি ফেইক আইডির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের সাথে জড়িত একটি চক্রের সাথে মুন্না আহমেদ নান্নুর সংশ্লিষ্টতা ছিল।
প্রেসবিফিংয়ে আটককৃত মুন্না সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে জানায় সে বিয়ানীবাজার ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের ছাত্র। ফেসবুকে নাইম রহমান ও আরিফুল ইসলাম নামের দুইজনের সাথে পরিচয় হয়। ফেসবুকে বন্ধুত্বের সুবাধে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মাধ্যমে টাকা রোজগারের লোভনীয় অফার আসে। তারা ওর কাছে ফোনে ও ফেসবুকে এমন অফার দেয়। সে তাদের কথা মত রাজী হলে তারা ওই ফেইক গ্রুপ আইডিতে তাকে এডমিন করে। সে ওই গ্রুপ আইডির ১৮ নাম্বার এডমিন ছিল। পরীক্ষার ১ ঘন্টা, আধঘন্টা কিংবা আগের দিন রাতে ওই বিষয়ের প্রশ্ন পত্র টাকার বিনিময়ে ওই গ্রুপের সদস্যদের হাতে পৌঁছাত তারা। আর টাকা লেন দেন হত বিকাশের মাধ্যমে। প্রতিটি প্রশ্নবাবত ১হাজার থেকে ১৫শত টাকা নিলেও ওদের কে ওই টাকার অর্ধেক দিত সে। অনেক সময় প্রশ্ন হাতে পেয়েও কথা মত অনেকেই টাকা বিকাশে পাঠায়নি। কোন প্রশ্ন থাকত হাতে লিখা আর কোনটি থাকত প্রিন্ট।
মন্তব্য করুন