প্রেমের টানে মুসিকের হাত ধরে রুবেনা চলে যায় : মায়ের মৃত্যু নিয়ে  চাঞ্চল্য সৃষ্টি

April 18, 2016,

স্টাফ রিপোর্টার॥  মৌলভীবাজারের  সীমান্তবর্তী কুলাউড়ার মুরইছড়া নয়া বস্তি (দশটিকা) গ্রামের  মাসুক আলী মেয়ে রুবেনা বেগম  অপহরণ ও তার মাকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলেও এমন অভিযোগের পক্ষে কোন জোরালো প্রমাণ ও তথ্য পাওয়া য়ায়নি। তবে হত্যার স্বীকার ছায়রা বেগমের বয়বৃদ্ধ মা আমেনা বিবি এই হত্যার জন্য দায়ী করেছেন তার মেয়ের স্বামী মাসুক মিয়া ও নাতি নওশাদ আলী ও তওশিদ আলী ।

কুলাউড়ার মুরইছড়া নয়া বস্তি দশটিকা গ্রামে ১৫ এপ্রিল শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে প্রেমের টানে মুনু মিয়ার বিবাহিত ছেলে ৩ সন্তানের জনক প্রবাসী মুসিক মিয়া একই গ্রামের মাসুক আলীর অবিবাহিত মেয়ে রুবেনা বেগম কে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। মেয়ে ও ছেলে তাদের স্ব ইচ্ছায় ঘরছাড়লেও রহস্যজনক কারণে মেয়ের  পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ তুলে মুসিক গভীর রাতে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে জোর পূর্বক রুবেনা কে  অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মা ছায়েরা বেগম বাধাঁ দিলে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে টনক নড়ে প্রসাশনের। ওই দিন জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দের গ্রেফতারে সচেষ্ট হন। এরই প্রেক্ষিতে আজ সকালে কর্মধা  ইউনিয়নের বুধপাশা গ্রামের মিয়াজান আলীর বাড়ি  থেকে ভিকটিম রুবেনা ও মুসিককে আটক করে  পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুলাউড়া থানায় নিয়ে আসে।

মাসুক মিয়ার ২য় স্ত্রী পিয়ারা বেগম ঘটনার বিরণ দিতে গিয়ে বলেন তার সতীনের ছোট মেয়ে গভীর রাতে  তাদেরকে জানায় রুবেনা কে মুসিক তুলে নিয়ে গেছে ।

একাধীক এলাকাবীসী জানায় প্রায় দিনই তাদের পরিবারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। ঘটনার দিন বিকেল বেলাও ঝগড়া ঝাটি করতে শোনেছেন। মাসুক মিয়া দ্বীতিয় স্ত্রী  পিয়ারা বেগমকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করত।

তবে পুলিশ ও সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসিক জানায় ছায়েরা বেগমের বিষ খাইয়ে হত্যার ব্যাপারে সে জড়িত নয়। রুবেনাকেও জোরপূর্বক অপহরণের ঘটনাটিও সত্য নয়। রুবেনাও জানায় সে সেচ্ছায় প্রেমের টানে মুসিক  সাথে পালিয়ে যায়।

সায়েরা বেগমের মা আমিনা বিবি এ হত্যার জন্য মেয়ের জামাই ও নাতিকে দায়ী করেছেন।

জুনায়েদ আলম সরকার , সহকারী পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) জানান , ঘটনার পর ১৭ এপ্রিল রোববার সকালে বুধপাশা গ্রাম থেকে মুসিক মিয়া ও রুবেনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সুরতাহাল রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসা বাদের জন্য মেয়ের বাবা ও ভাইকে কুলাউড়া থানায় আনা হলেও  রুবিনা ও মুসিকে কে আটক দেখানোহয়েছে। পুলিশি তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উম্মোচন হবে এমনটি দাবী এলাকাবাসীর।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com