বকেয়া বেতন রেশনসহ বিভিন্ন দাবী আদায়ের লক্ষ্যে জুড়ীর চা বাগান শ্রমিকের উপজেলা কার্যালয় ঘেরাও
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2017/03/pic-juri-20.3.17.jpg?fit=800%2C445&ssl=1)
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ জুড়ী উপজেলার ৫ চা বাগানের ২ সহস্রাধিক শ্রমিক ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে বকেয়া বেতন-ভাতা, রেশন, গৃহ নির্মান, চিকিৎসা, ভবিষ্যৎ তহবিল, সুপেয় পানিসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র কার্যালয় ঘেরাও করেছে। প্রায় ৩ ঘন্টা ঘেরাও কর্মসুচি শেষে শ্রমিকরা ইউএনও মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ২০ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার ধামাই টি কোম্পানীর মালিকানাধীন ধামাই, সোনারূপা, আতিয়াবাগ এবং পুঁচি ও শিলঘাট ফাঁড়ি চা বাগানের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন, রেশন, গৃহনর্মাণ ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিলসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। মালিক পক্ষ বিভিন্ন সময় পাওনা প্রদানের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন না করায় শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করে। বারবার তারিখ করেও শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এসব বাগানের বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা জুড়ী উপজেলা পরিষদে ঘেরাও কর্মসূচী পালন করে। বাগান গুলোতে বিগত তিন বছর থেকে চলমান শ্রমিক আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে সোমবার দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে তারা মিছিল সহকারে উপজেলা চত্ত্বরে পৌঁছে।
শ্রমিকদের ঘেরাও কর্মসূচী চলাকালে তাদের দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান গোলশান আরা মিলি, ইউএনও মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, শামসুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ। শ্রমিকরা পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ২০ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চা বাগান মালিকসহ ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা ঘেরাও কর্মসূচী প্রত্যাহার করে বাগানে ফিরে যায়।
মন্তব্য করুন