বড়লেখায় গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু, সোনাই নদী থেকে লাশ উদ্ধার
আব্দুর রব॥ বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের পানিসাওয়া গ্রামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল সোয়া আটটার দিকে বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত সোনাই নদীতে ভাসমান লাশ দেখে স্বামীর বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেন। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত স্বপ্না দাস পানিসাওয়া গ্রামের অসীম দাসের স্ত্রী। শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের দাবি স্বপ্না সাতার জানত না। এর জন্যই নদীতে ডুবে সে মারা গেছে। তবে পিতৃপক্ষ ও প্রতিবেশিরা বলছেন এই মৃত্যু রহস্যজনক।
নিহত গৃহবধুর শ্বশুড় নিরঞ্জন দাস জানান, তার পুত্রবধু স্বপ্না দাস (২৬) মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির উঠানের নলকুপে থালা-বাসন ধৌত করে। এর আগে স্বপ্নার স্বামী অর্থাৎ আমার ছেলে অসীম দাস কাজে বেরিয়ে পড়ে। থালা-বাসন পরিস্কারের পর পুত্রবধু স্বপ্না তার এক বছরের শিশু কন্যার জামা-কাপড় পরিস্কার করতে সোনাই নদীর স্নানঘাটে যায়। দীর্ঘ সময় বাড়ি না ফেরায় খোঁজ নিতে গিয়ে নদীতে তার ভাসমান লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। শ্বশুড়ের দাবি স্বপ্না দাস সাতার না জানায় নদীর পানিতে ডুবে মারা গেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রতিবেশি জানান, শুষ্ক মৌসুমে সোনাই নদীতে ডুবে মারা যাওয়ার মতো পানি নেই। তাছাড়া স্বপ্নার বাবার বাড়ির এলাকা খাগটেকার লোকজনকে বছরে ৪-৫ মাস নৌকায় চলাচল করতে হয়। ওই এলাকার কোনো মেয়ে সাতার জানবে না তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই মৃত্যু রহস্যজনক।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, পুলিশ নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তখন প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন