বড়লেখায় চা বাগানের ভূমি জবর-দখলের অপচেষ্টা, বাধা দিতে গিয়ে হামলায় আহত ২
আব্দুর রব॥ বড়লেখার আল্লাদাদ চা বাগানের ইজারাকৃত ভূমি জোরপূর্বক জবরদখলের অপচেষ্টাকালে বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বাগানের বনপ্রহরী সেজু মিয়া ও চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদার সিরাজ উদ্দিন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে বাগানের ৭ নং সেকশনের বটকুচি নামক স্থানে।
বাগান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কতিপয় খাসিয়া বেশ কিছুদিন যাবত বাগানের ভূমি জোরপূর্বক জবরদখলের অপচেষ্টা ও বাগান কর্তৃপক্ষের নিকট মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। এ নিয়ে চা বাগান ও খাসিয়াদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। শনিবার দুপুরে বাগানের ৭ নং সেকশনের বটকুচি নামক স্থানে শ্রমিকরা কাজ করছিল। এসময় অলমিন খাসিয়ার নেতৃত্বে ড্রিং খাসিয়া, এবারসন গাসা, বিওস, ফারমিন মুখিম, ডিসল খাসিয়া, দুলন, ডেনি প্রমুখ বাগানের ইজারাকৃত ভূমি জবর-দখলের অপচেষ্টা চালায়, শ্রমিকদের কাজে বাধা দেয়। তাদেরকে (খাসিয়া) বাধা দিলে তারা বাগান শ্রমিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বাগানের বনপ্রহরী সেজু মিয়া ও চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদার সিরাজ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। এই সময় হামলাকারিরা বাগানের শ্রমিক আবু মিয়া, রাসেল আহমদ, আব্দুল মজিদ এবং অস্থায়ী শ্রমিক নুরুল হককে ধরে করে নিয়ে যায়। খাসিয়াদের অতর্কিত হামলার ঘটনায় ভয়ে বাগানের শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে।
খবর পেয়ে বাগানের মহা-ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ্দিন তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদকে অবগত করলে তিনি খাসিয়া পুঞ্জিতে গিয়ে আটককৃত শ্রমিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
আল্লাদাদ চা বাগানের মহা-ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে পাঠাতে সহযোগিতা করেন। এসম অলমিন খাসিয়ার নেতৃত্বে খাসিয়ারা তার নিকট ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে তারা বাগানের ভূমি জবরদখল করে নিবে বলে হুমকি দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান দিবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। সুষ্ঠু সমাধান না পেলে তিনি আইনের দ্বারস্থ হবেন।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। খাসিয়াদের হেফাজতে নেওয়া শ্রমিকদের উদ্ধার করেন। উভয়পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করেছেন। স্থানীয়ভাবে সমাধানে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে তিনি বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন