বড়লেখায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্বৃত্তের হানা, স্বর্ণলঙ্কারসহ নগদ টাকা লুট
আব্দুর রব॥ বড়লেখায় এক প্রবাসীর বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হানা দিয়েছে। দুর্বৃত্তরা বাড়ির গেইটের তালা ও দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণলঙ্কার, নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি রাতের কোনো এক সময় উপজেলার আরেঙ্গাবাদ গ্রামের কাতার প্রবাসী মঈজ উদ্দিনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
তবে প্রবাসী মঈজ উদ্দিনের অভিযোগ, এই ঘটনায় তার বড় ভাইয়ের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মশহুর উদ্দিন তোতা মিয়ার তৃতীয় ছেলে মঈজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে কাতারে থাকেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও কন্যা রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার মঈজ উদ্দিনের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার ছাদিকা তার বাবার বাড়ি উপজেলার মুছেগুল গ্রামে বেড়াতে যান। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় তাদের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হানা দেয়। দুর্বৃত্তরা প্রথমে বাড়ির গেইটের তালা এবং পরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। পরে তারা ১০টি ফ্লাক্স, দুটি স্বর্ণের আংটি ও দুটি রূপার আংটি, একটি স্বর্ণের চেইন এবং নগদ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও জমির পর্চা লুট করে নিয়ে যায়।
প্রবাসী মঈজ উদ্দিনের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার ছাদিয়া বলেন, গতকাল বাবার বাড়িতে এসেছি। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি বাড়ির গেইট ও দরজার তালা ভাঙা। ঘরে থাকা স্বর্ণ ও রূপার আংটি, চেইন, নগদ টাকা, জমির পর্চা ও আসবাবপত্রগুলো নেই। ঘরের বিভিন্ন মালামাল অগোছালো রয়েছে।
মঈজ উদ্দিন শনিবার বিকেলে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে কাতারে আছি। বাড়িতে আমার স্ত্রী ও শিশুকন্যা আছে। তারা শুক্রবার আমার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে তারা (দুর্বৃত্তরা) আমার বাড়ির গেইটের তালা ও ঘরের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। পরে নগদ টাকা, সোনা ও রুপার আংটি এবং চেইন ও জমির পর্চা নিয়ে যায়।‘ তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার বড়ভাই আমার ঘরে থাকতে চেয়েছেন। আমি থাকতে দিইনি। এনিয়ে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে আমার বিরোধ আছে। তিনি আমার স্ত্রীর কাছে আমাকে হুমকিও দিয়েছেন। এছাড়া প্রায় আমার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি।’ তিনি বলেন,‘চুর বা ডাকাত এলে ঘর থেকে মালামাল নিয়ে চলে যাওয়ার কথা। তারা জমির পর্চা নেবে কেন? ব্যাংকের চেকের পাতা ছিঁড়ে ফেলবে কেন?’ এসব বিষয় থেকে আমি ধারণা করছি আমার বড়ভাই এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। আমি বিষয়টি পুলিশকেও বলেছি।’
থানার (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী শনিবার বিকেলে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। প্রবাসীর পরিবারকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
মন্তব্য করুন