বড়লেখায় বসতঘর ছোঁয়া বিদ্যুতের মেইন লাইন, প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের
আব্দুর রব॥ বড়লেখায় প্রবাসীর বসতঘর ছোঁয়া হাইভোল্ট বিদ্যুতের মেইন লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে লিলন মিয়া (২৩) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পর্যটন কেন্দ্র মাধবকুণ্ড সংলগ্ন খলাগাও গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রবাসী রাসেদ মিয়ার বাড়িতে। নিহত লিলন মিয়া দোহালিয়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে আটটায় লিলন মিয়ার লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। জানা গেছে, প্রবাসী রাসেদ মিয়ার দোতালা বাড়ির দেওয়াল ঘেষেই গেছে পল্লীবিদ্যুতের মেইন লাইন। প্রবাসী তার বসত বাড়ির দোতলায় রাজমিস্ত্রী নিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। বিকেলের দিকে অসাবধানতাবশত নির্মাণ শ্রমিক লিলন মিয়া খোলা বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে ঘরের উপর থেকে নিচে পড়ে যান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত
ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, বড়লেখার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ উচ্চ ভোল্টের লাইন রয়েছে। অনেকের বসতঘরের উপর, ঘরের দেওয়াল এমনটি হাতে ছোঁয়া দুরত্বে বিদ্যুতের লোজ তারের মেইন লাইন টানানো রয়েছে। গত ২৫ মার্চ জুড়ীতে টিনের চালে বিদ্যুৎ লাইন ছিড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হলেও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি মরণফাঁদ এসব বিদ্যুৎ লাইন স্থানান্তরের কার্যকর কোনো উদ্যোগই নেয়নি। বড়লেখা পল্লীবিদ্যুতের এজিএম (কম) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ওই প্রবাসীর বাড়ি তৈরীর আগে থেকেই এইস্থান দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টানানো ছিল। পল্লীবিদ্যুত সমিতিকে লাইন স্থানান্তরের আবেদন- নিবেদন এমনকি কোনো ধরণের অবহিত না করেই লাইন ঘেষে স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকেন। প্রায় ঘরের মধ্যেই তিনি বিদ্যুতের লাইন ঢুকিয়ে ফেলেন। এখানে কাজ না করতে নিষেধ দিলেও তারা মানেনি।
মন্তব্য করুন