বড়লেখার পান জুমে বন্যহাতি, আতঙ্কে শ্রমিকরা

May 7, 2024,

স্টাফ রিপোর্টার॥ বড়লেখার সংরক্ষিত বনসংলগ্ন আদিবাসী খাসিপল্লীর পানজুমে কয়েক দিন ধরে একটি বন্যহাতি অবস্থান করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। দলবেঁধে জুম শ্রমিকরা ঢাকঢোল পিটিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করলে ঘুরেফিরে হাতিটি প্রায় একই স্থানে অবস্থান করায় আতঙ্কে শ্রমিকরা পাহাড়ে কাজে যাচ্ছেন না।
জানা গেছে, উপজেলার পাথারিয়া পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংলগ্ন ৭নং খাসিয়াপুঞ্জির গুটিবাড়ি এলাকার পানজুমে গত মঙ্গলবার থেকে একটি বন্যহাতি ঘুরেফিরে প্রায় একই জায়গায় অবস্থান করছে। দূর থেকে হাতিটিকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে হাতিটি বয়স্ক ও অসুস্থ।
জুম শ্রমিক বিষ্ণু সাহা, নন্দন সাহা ও শ্রমিক নেতা অজিত রবি দাস জানান, তারা অনেকেই পাহাড়ের পানজুমে কাজ করেন। গত কয়েক দিন ধরে তারা যে জুমে কাজ করেন সেখানে বিরাট একটি হাতির অবস্থান ও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে দেখেন। হাতিটি বন্য, বয়স্ক ও অসুস্থ বলে মনে হয়েছে। তাড়ানোর চেষ্টা করেছেন তবে যায়নি। হাতির ভয়ে কয়েক দিন ধরে তারাসহ শ্রমিকরা জুমে কাজ করতে গিয়ে হাতি দেখে ফিরে আসছেন।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে ৭টি বন্যহাতি পাহাড়ের ভারত ও বাংলাদেশ অংশে অবাধ বিচরণ করত। লোকালয়ে তেমন দেখা যেত না। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করায় হাতিগুলো ভারতে প্রবেশ করতে না পারায় এবং পাহাড়ে খাদ্যাভাব ও বিচরণস্থল কমে যাওয়ায় তারা মাঝে মধ্যে লোকালয়ে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি করত। ২-৩ বছর ধরে এই দলের তিনটি হাতিকে দেখা যায়নি। চারটিকে মাঝে-মধ্যে জঙ্গলে বিচরণ করতে দেখা যায়।
বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, তিনি শুনেছেন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশের খাসিয়াপুঞ্জির পানজুমে একটি হাতি অবস্থান করছে। হাতিটি চারটির দলের একটি হতে পারে। তবে সোমবার খবর পেয়েছেন হাতিটি জুড়ীর লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের দিকে চলে গেছে। নির্বাচন (বুধবার) শেষে তিনি সরেজমিন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com