বড়লেখায় কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা পুলিশের তদন্তে প্রমানিত

February 25, 2017,

আবদুর রব॥ বড়লেখায় দরিদ্র বাবুর্চি দম্পতির কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পুলিশের তদন্তে প্রমানিত হলেও মামলা রেকর্ড না করায় বিভিন্ন মহলে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মামলা রেকর্ড না হওয়ায় নির্যাতিত কিশোরীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এঘটনায় বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মামলা রেকর্ডপুর্বক ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বড়লেখা থানার পুলিশ ব্যারাকের বাবুর্চি দম্পতি ছেলে-মেয়ে নিয়ে পাখিয়ালা চৌমোহনার মতোছিন আলীর ছেলে পুতুলের মুড়িরগুলস্থ ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বাবুর্চি দম্পতি কর্মস্থলে গেলে বাড়ির মালিক পুতুল (৪৯) প্রায়ই তাদের কিশোরী মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে কু-কাজের চেষ্টা চালাতো।
১৬ ফেব্রুয়ারী সকালে প্রতিদিনের মত কিশোরীটির বাবা-মা রান্নার কাজে গেলে বাড়ির মালিক পুতুল ২ সহযোগির সহায়তায় ঘুরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধস্তাদস্তিকালে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। ঘটনার পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারী নির্যাতিত কিশোরী লম্পট পুতুলকে প্রধান এবং প্রদীপ দাসকে সহযোগি আসামী করে মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানীর মামলা করেন।
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা (বিল্লাল উদ্দিন) জানান, ‘আমরা গরীব মানুষ, মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করায় মামলা দিয়েছি। কিন্তু প্রভাবশালীরা মামলা নাড়াচাড়া করতে বাঁধা দিচ্ছে। বলেছে, বিষয়টি তারা আপস করে দিবে। মামলা দিয়ে ন্যায় বিচার পাওয়াতো দুরের কথা এখন নিরাপত্তা নিয়েও হুমকিতে আছি’।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের বড়লেখা ও জুড়ী শাখার নির্বাহী সদস্য নাজমুন নাহার বলেন, একটি অসহায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পুলিশ কর্তৃক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরও মামলা রেকর্ড না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। শুনেছি অভিযুক্ত ব্যক্তিটি সমাজের প্রভাবশালী তাই কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাহলে কি ধর্ষণ চেষ্টাকারী ব্যক্তি ও সহযোগীরা আইন কানুনের উর্ধ্বে।
থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করতে তিনি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বাদি পক্ষ মামলা রেকর্ডে উৎসাহী নয়, পুলিশকে অনুরোধ করছে রেকর্ড না করতে।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, সরেজমিনে তদন্ত করে ধর্ষণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com