বড়লেখায় ব্যবসায়ির গরু চুরি করে জঙ্গলে জবাই মাংস উদ্ধার, গ্রেফতার

January 24, 2023,

আব্দুর রব॥ বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ঝগড়ি গ্রামে দিনে দুপুরে মাঠ থেকে এক ব্যবসায়ির লাখ টাকা দামের গরু চুরির পর জবাই করে মাংস ফ্রিজে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চোর সিন্ডিকেটের হোতা নাজিম উদ্দিন ও তার ছেলে এমদাদুল হক মুন্নার।

সোমবার ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের নিজ বাড়ি থেকে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা চোরাই গরুর মাংসের অংশ বিশেষসহ তাদের গ্রেফতার করেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী গরুর মালিক মতি লাল দাস গ্রেফতার পিতা-পুত্রসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাতেই থানায় গরু চুরির মামলা করেন। অন্য আসামিরা হলেন-কামরান আহমদ ও ছলিম উদ্দিন।

জানা গেছে, উপজেলার ঝগড়ি গ্রামের ব্যবসায়ি ও কৃষক মতি লাল দাস রোববার সকালে গৃহপালিত ছয়টি গরু বাড়ির পাশের মাঠে ঘাস খেতে রশি দিয়ে বেধে রাখেন। দুপুরে গরু আনতে গিয়ে দেখেন প্রায় লাখ টাকা দামের সবচেয়ে বড় গরুটি আর মাঠে নেই। খোজাখুজির পর সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলের কয়েকশ’ ফুট দূরে বিন্না বনে চুরি যাওয়া গরুটির চামড়া, ভুড়ি ও বেধে রাখার রশি পড়ে থাকতে দেখেন।

বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। ইউপি সদস্যের খবরে থানার এসআই আতাউর রহমান সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে নিশ্চিত হন চোরেরা গরুটি জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি পার্শ্ববর্তী নাজির খাঁ গ্রামের নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাজিম উদ্দিন ও তার ছেলে এমদাদুল হক মুন্না বসতঘরের সানসেটের ওপর লুকিয়ে পড়েন।

সেখান থেকে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি পুলিশ তাদের ঘরের ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা চোরাই গরুর মাংস উদ্ধার করেন। এসআই আতাউর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নানা আলামতের ভিত্তিতে তিনি ব্যবসায়ি মতি লাল দাসের গরু চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও পরে তাদের হেফাজত থেকে মাংসও উদ্ধার করেন।

মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি দুপুরে গ্রেফতার নাজিম উদ্দিন ও তার ছেলে এমদাদুল হক মুন্নাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com