মাধবকুন্ডে পর্যটক লাঞ্ছিত ও হয়রানীর অভিযোগ

November 9, 2016,

আব্দুর রব॥  দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পিকনিক স্পট মাধবকুন্ড  ইকোপার্ক ও জলপ্রপাতে আগত পর্যটকরা নানাভাবে হয়রানী ও লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের ক্যামেরাম্যান জুয়েল আহমদ মঙ্গলবার কয়েকজন পর্যটকের সাথে অসদাচরণ করেল বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়ে ইকোপার্কের গেট ইজারাদার মুমিন উদ্দিন লাঞ্ছিত হন। এঘটনায় তিনি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী ইজারাদারের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, দক্ষিণভাগ (উত্তর) ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র কর্তৃক নিয়োগকৃত ক্যামেরাম্যান জুয়েল আহমদ ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে মাধবকুন্ড ইকোপার্কে আগত পর্যটক হাবিব আহমদ, মানোয়ার হোসেন, সোহেল মিয়া, মতিউর রহমান, ইউনুছ আহমদ সহ আরো কয়েক জনের সাথে  অসদাচরন, গালি গালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলে পর্যটকরা ইকোপার্কের গেট ইজারাদার মমিন উদ্দিনের শরণাপন্ন হন। তিনি বিষয়টি মীমাংসা করতে চাইলে উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে ক্যামেরাম্যান জুয়েল আহমদ তার সাথেও মারাত্মক অসদাচরণ ও লাঞ্ছিত করে।
অভিযোগকারী মমিন উদ্দিন জানান, সাম্প্রতিক মাধবকু-ে আগত পর্যটকরা ক্যামেরাম্যান ও স্থানীয় কতিপয় ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানীর শিকার ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। মাসে ঢাকার নারায়নগঞ্জের ১৫-১৬ জন পর্যটক জনৈক ব্যবসায়ী কর্তৃক হামলার শিকার হন। গাড়ী পার্কিং ইজারাদারের কর্মচারীর হাতে নারীসহ ৬ পর্যটক আহত হন। এসব ঘটনায় মাধবকু-ের প্রতি পর্যটকরা নিরুৎসাহী হচ্ছেন। মঙ্গলবার কয়েকজন পর্যটক ক্যামেরাম্যান জুয়েলের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে তার শরনাপন্ন হলে সে তাকেও লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক ইউএনও এসএম আবদুল্লাহ আল মামুনকে অবহিত করেন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ক্যামেরাম্যান জুয়েল আহমদ জানায়, পর্যটকরা তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। গেট ইজারাদার মমিন উদ্দিন পর্যটকের পক্ষ নেয়ায় সামান্য বাকবিতন্ডা হয়েছে।
ইউএনও এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করতে সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) নির্দেশ দিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com