মৌলভীবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নৃপেন্দ্রকে সিলেটে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়

July 17, 2023,

সালেহ আহমদ (লিপক) মৌলভীবাজারের শ্যামরকোনা বাজারের শিউলি শিল্পালয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক নৃপেন্দ্র দে নামের এক ব্যক্তিকে সিলেট পাহাড়পুর হোটেলে জিম্মি করে নগদ টাকা ও সোনাদানা কেঁড়ে নিয়ে স্ত্রীর নামের ২টি ব্লাইন্ড চেক ও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে নৃপেদ্র দে সিলেট কোতোয়ালী থানায় প্রসেনজিৎ দাশ, তপন চৌধুরী ও জগদীশ নামের ৩ জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, নৃপেন্দ্র দে ব্যবসায়ীক কাজে সিলেট গিয়ে বিভিন্ন সময় প্রসেনজিৎ দাশের পরিচালিত হোটেল পাহাড়পুরে অবস্থান করতেন।

সেই সুবাদে প্রসেনজিৎ দাশ এর সাথে তার সম্পর্ক ও বিশ্বাস গঁড়ে উঠে। গত ২২ মে নৃপেন্দ্র দে তার সঙ্গীয় দিমান দাশ, রিপন কপালীসহ সিলেট গেলে হোটেল পাহাড়পুরের পরিচালক প্রসেনজিৎ দাশ এর আমন্ত্রনে রাত কাঁটানোর জন্য তাদের কাছে যান।

এসময় তাদেরকে হোটেলের ৩য় তলার একটি রুমে নিয়ে গিয়ে প্রসেনজিৎ দাশ ও তপন চৌধুরী বাহির থেকে রুম বন্ধ করে দিয়ে তাদেরকে রুমে আটকে রাখে।

প্রসেনজিৎ দাশ ও  তপন চৌধুরী রাত ১২টার দিকে দিমান দাশকে ছেড়ে দিয়ে পরেরদিন নৃপেন্দ্র দাশ ও রিপন কপালীকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দেয়।

এরপর নৃপেন্দ্র দাশের উপর তারা শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। তার নিকট থাকা নগদ ৩ লাখ টাকা ও ২২ ক্যারোটের ৩ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে আবার বাহির থেকে হোটেলের রুম বন্ধ করে দেয়।

পরদিন ১১টায় আবার রুমে এসে তাকে মারপিট করে ২টি চেক দেওয়ার জন্য বলে। এসময় নৃপেন্দ্র দে বাধ্য হয়ে তার স্ত্রীর নিকট ফোন করে স্ত্রীর নামীয় প্রিমিয়াম ব্যাংকের চেক নং-২২৩৪৬০৪ ও চেক নং-২২৩৪৬০৭, ২টি চেক স্বাক্ষর করিয়ে তাদের কথা মতো মৌলভীবাজার কুলাউড়া কোটের্র এএসআই জগদীশ এর নিকট হস্তান্তর করেন।

এসময় তারা তার নিকট থেকে ৬টি একশত টাকার স্ট্যাম্প স্বাক্ষর করে নেয়। চেক প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়ে তারা ২ জনকে ছেড়ে দেয়।

এব্যাপারে সিলেট পাহাড়পুর হোটেলের পরিচালক বলেন, নৃপেন্দ্র দের সাথে আমার ব্যবসায়ীক লেনদেন আছে। যার কারণে সে আমাকে স্ট্যাম্প ও চেক দিয়েছে। তাকে জিম্মি করে নেওয়ার বিষয় ঠিক নয়।

মৌলভীবাজার কুলাউড়া কোর্টের এএসআই জগদীশ বলেন, আমি সাগরের এসমস্ত বিষয় কিছু জানি না। তার সাথে আমার কোন পরিচয় নাই।

এসময় সাগর কে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নৃপেন্দ্র দে নাম সাগর। নৃপেন্দ্র দের সাথে পরিচয় না থাকলে তার নাম সাগর তিনি জানলেন, কি ভাবে প্রশ্ন করলে বলেন, প্রসেনজিৎ  দাশের সাথে নৃপেন্দ্র দে ওরফে সাগরের টাকা, চেক ও স্ট্যাম্প নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে তিনি ছিলেন।

এব্যাপারে সিলেট কতোয়ালী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজিৎ বলেন, আমাদের কোতোয়ালী থানায় নৃপেন্দ্র দে একটি অভিযোগ করেছেন।

কাজল শাহ মেডিকেল রোডের পাহাড়পুর হোটেলে তাকে জিম্মি করে চেক, স্ট্যাম্প ও টাকা আদায় করা হয়েছে।

আমি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। পরবর্তীতে বিষয়টি আপোষ মিমাংসায় শেষ হবে বলায় অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com