মৌলভীবাজারে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছেই

স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলায় প্রতিদিনই নতুন করে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান বাড়ছেই। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা যায় মৌলভীবাজারে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। দেশে উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকি আছে এমন তালিকায়ও রয়েছে জেলাটি।
১১ মার্চ থেকে জেলা জুড়ে নতুন করে সক্রমণের হার ক্রমেই বেড়েই চলছে। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা যায় জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব না থাকায় প্রতিদিন নিজ দায়িত্বে বিশেষ ব্যবস্থায় সংগৃহীত নমুনা সিলেটে পাঠাতে হচ্ছে। সেখান থেকে একদিন পর মিলছে পরীক্ষার রিপোর্ট। তাছাড়া করোনার টিকা নিতে ও পরীক্ষা করাতে মানুষের আগ্রহ একেবারেই কম। ৭টি উপজেলা মিলে প্রতিদিন নমুনা সংগৃহীত হচ্ছে ১’শ জনেরও কম।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায় জেলা জুড়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। গেল ২ দিনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ২৭১ টি মামলা ও ৬৫ হাজার ৫ শ টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়েছে। ৫ মে থেকে লকডাউন শুরু হলেও সেখানেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি না মানার দৃশ্য চোখে পড়ছে। এদিকে রোববার মৌলভীবাজারে আরও ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ৬২ টি নমুনা পরীক্ষায় এই ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সেই হিসেবে শনাক্তের হার ৩১ শতাংশ। যা দেশের মধ্যে সর্বচ্চো। এর আগে ছিলো ২২.২ ভাগ । মৌলভীবাজারে করোনা আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হয় গত বছরের ৫ এপ্রিল। এক বছরে এই জেলার ২ হাজার ৭৬ জন করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। সরকারী হিসেবে মারা গেছেন ২৪ জন।
মৌলভীবাজারে মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৪ জন। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা মৌলভীবাজারে ফেব্রুয়ারির শুরুতে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৫ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু মার্চের শেষে এই হার এসে ঠেকেছে ৩০ শতাংশে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না অনেকেই। করোনার টিকা গ্রহণেও উৎসাহ কমে এসেছে। ফলে জেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
মন্তব্য করুন