মৌলভীবাজারে কয়েকদিনের দাবদাহের দাপটে জনজীবন বিপর্যস্থ : ৩৮. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের উপর দিয়ে কয়েকেদিন থেকে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমের দাপটে নাজেহাল জনজীবন।
এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। প্রচন্ড তাবদাহে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। আবার কিছু মানুষ অনেকটাই কাজের চাপে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তি পেতে ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে।
অনেকে রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ও গামছা ব্যবহার করছেন। দেশের বেশির ভাগ এলাকার মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। কৃষক, দিনমজুর ও রিকশাচালকদের কষ্ট অনেক বেশি।
গরমে সেদ্ধ জীবনে বৃষ্টির জন্য মানুষ আকাশপানে তাকিয়ে থাকলেও দেখা নেই স্বস্তির বৃষ্টির। তীব্র দাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন থেকে মুক্তির জন্য ইতোমধ্যে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজও আদায় করেছেন জেলার বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা।
মঙ্গলবার ৯ এপ্রিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল ২৩.৬। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৬২ শতাংশ।
সোমবার ৮ মে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অফিস শ্রীমঙ্গল। রোববার ৭ মে ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে গত ১৪ এপ্রিল ছিল এবছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, আজ বিচ্ছিন্নভাবে কোথায় বৃষ্টি হতে পারে এবং আগামী দুই একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমে বৃষ্টি হতে পারে।
ইউটিউবে দেখুন পাতাকুঁড়ির ভিডিও গ্যালারি
কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা , মাড়াই জাড়াই এক সাথে হচ্ছে
মৌলভীবাজারে নবাগত জেলা প্রশাসক মতবিনিময় করলেন সাংবাদিকদের সাথে
কাউয়াদিঘি হাওরে কৃষকদের নিয়ে বোরো ধান কর্তন করলেন জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ভাড়াউড়া চা বাগানে মে দিবস পালিত
মন্তব্য করুন