খানদানী রেস্টুরেন্টে তানিম নামের এক কর্মচারীকে পিঠিয়ে হত্যার অভিযোগ, একজন আটক

June 25, 2023,

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার শহরের তানিম নামের এক কর্মচারীকে অপর কর্মচারীরা পিঠিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রেস্টুরেন্টের পাশের কক্ষে ফেলে রাখে তার সহকর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে নিহত কিশোর বয়সী তানিম এবং রেষ্টুরেন্ট কর্মচারী জালালের মধ্যে তচ্ছু ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তানিম জালালের হাতে একটি ব্লেড দিয়ে আচড় দেয়। এঘটনার জেরে জালাল ও রেষ্টুরেন্টের সাথে পান দোকানদার সহ কয়েকজন মিলে শনিবার ২৪ জুন রাতে তানিমকে পিঠিয়ে গুরুত্বর আহত করে কক্ষে ফেলে রাখে।
তানিমের সহকর্মীরা জানান মারধরের পর তানিমকে হাসপাতালে না নিয়ে রেস্টুরেন্টের পাশের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। এসময় অন্যসহকর্মীরা তার কান্না ও ঘুংরানোর আওয়াজ পেয়ে খোঁজ নিয়ে এই ঘটনা তার পরিবার ও অন্যদের জানাতে চাইলে বাঁধা দেয় মোল্লা বদরুল তার ভাই আজিজুল,কর্মচারী জালাল ও ম্যানেজারসহ অন্যরা। তখন তার অবস্থার অবনতি হলে বাধ্য হয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবারও ওই কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন ম্যানেজার ও ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।
নিহত তানিমের মামাতো ভাই মোঃ জমসেদ মিয়া জলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অন্যকর্মচারীদের সর্তক করে তানিমের অভিভাবক কিংবা অন্য কাউকে ফোন করতেও বারণ করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে রোববার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে তারা রেষ্টুন্টের একটি কক্ষ থেকে তানিমকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তানিমের মৃত্যুর সংবাদ বিকেল সাড়ে ৩টা দিকে ছড়িয়ে পড়লে রেস্টেুরেন্টের অন্যন্য কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। ওই রেস্টেুন্টে ১৮ জন কর্মচারীর মধ্যে অধিকাংশই বয়সে কিশোর।
ওই ঘটনার বক্তব্য নিতে ম্যানেজার বা মালিক পক্ষ কাউকে মুঠোফোনে বা রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়নি। নিহত তানিমের বাড়ি জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রায় পরাণ গ্রামে। তার পিতা মো: মুহিব মিয়া। ৩ ভাই ও বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। অভাব অনটনের সংসার তার আয় রোজগার দিয়েই চলত বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিশোর তানিমকে হারিয়ে রেস্টুরেন্টের সামনেই বিলাপ করছেন তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। তারা ঘটনার জড়িত খুনিদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ঘটনার সাথে জড়িত বদরুল মোল্লা ও আজিজুলের বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শমসেরগঞ্জ, রাউৎগাঁও উত্তর নারায়ণ পাশা। তবে জালালের ঠিকানা তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমান জানান জালাল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

https://fb.watch/lob3URrT60/

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com