মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

November 13, 2023,

সালেহ আহমদ (স’লিপক) মৌলভীবাজার ২৫০ বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার ১৩ নভেম্বর ভোর রাত ৪টায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আমিনা আক্তার (২৬) নামের এক মহিলার নবজাতকের মৃত্যু ঘটে।

রাজনগর উপজেলার গবিন্দবাটি এলাকার মৃত নবজাতকের পিতা সেলিম মিয়ার অভিযোগ, তার স্ত্রী আমিনা আক্তারকে ১২ নভেম্বর ডেলিভারী সংক্রান্ত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যরাতে তার প্রসবব্যাথা শুরু হলে তারা কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স নার্গিস আক্তারকে ডাকতে গিয়ে তাকে ঘুমন্ত পান। অন্যান্য নার্সরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সিনিয়র নার্স নার্গিস আক্তার তাদেরকে সময় বাকী আছে বলে বিদায় করে দেন।

প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে আবারও রোগীর সাথে থাকা রত্না বেগম গিয়ে সিনিয়র নার্স নার্গিস আক্তারকে আসার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি তখন রোগীকে হাঁটানোর পরামর্শ দেন। কিছু সময়ের মধ্যে আমিনা আক্তার মৃত সন্তান প্রস্রব করেন।

নবজাতক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃতের আত্নীয়-স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেন। এসময় পুলিশ পাহারায় নার্স নার্গিস আক্তারকে নিরাপদে বাসায় পাঠানো হয়।

প্রসুতি বিভাগের ৪২নং বেডের জেরিন আক্তার, ৪৩নং বেডের শিউলি আক্তার, ৪৪নং বেডের রুপালী বেগম, ৪৬নং বেডের রোহিনা বেগম বলেন, প্রসব বেদনায় আমিনা আক্তারকে ছটপট করতে দেখেছি। নার্স বা ডাক্তার কেউ কাছে আসেনি। পরবর্তীতে আমিনা বেগম কোন নার্স বা ডাক্তাররা ছাড়াই মৃত সন্তান প্রসব করেন। তারা সকলেই প্রসুতি। এক দু’দিন বা কিছু সময় পুর্বে তাদের ডেলিভারী হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই নার্স বা ডাক্তার সংকটে ভোগছিলেন।

এব্যাপারে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা বিনেন্দ্র ভৌমিক বলেন, ডেলিভারী পূর্বে বাচ্চার অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। ডেলিভারীর সময় নবজাতকের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। আর বাচ্চাকে তো টেনে হেঁছড়ে বের করা যায়না। ডেলিভারীর সময় অনেক ক্ষেত্রে মা ও নবজাতক দু’জনই মারা যায়। এক্ষেত্র মা তো  বেঁচে আছে। বিষয়টি আরএমও ফয়ছল আহমেদ সহ বসে পক্ষের সাথে সমাধান হয়ে গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com