রাজনগরে গৃহবধুর মৃত্যু বিষক্রিয়ায়

February 14, 2024,

স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজনগরের গৃববধুর মিতু দাশ (২৩) মৃত্যুর রহস্য ধুম্রজাল থেকে বের হয়ে আসছে না। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যুর কারণ বিষক্রিয়া জানিয়েছে। তবে, এই ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি এখনো খোলাসা হচ্ছে না।
এদিকে তার মৃত্যুর ঘটনাকে শাশুড়ি কর্তৃক পরিকল্পিত হত্যা’র বহিঃ প্রকাশ বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার শহরের বসবাসরত টমটম চালক পিতা পান্ডব দাশ। ঘটনাটি ঘটেছে গেল ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১১টায়।
মেয়ের মা মুক্তি দাশ’র জানান, রাজনগর উপজেলার চাটুরা গ্রাম থেকে গেল মঙ্গলবার নিহত গৃহবধু মিতু দাশের শাশুড়ি ফোনে জানান, তোমাদের মেয়ে বমি করছে দ্রুত আসো।
তাৎক্ষনিক তাদের বাড়ি গিয়ে দেখি মেয়ে মরা লাশের মত পড়ে আছে। কারণ জানতে চাইলে মেয়ে কাঁপিয়ে জানায়, ৩ দিন আগে তার কাশিঁ হয়েছিল। কাশির জন্য তার শাশুড়ি তাকে ট্যাবলেট জাতীয় কিছু খেতে দেন। এর পর থেকে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কান্না বিজড়িত কন্ঠে মা জানান, বুধবার রাতেই আমরা দ্রুত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, মিতু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
পরে ডাক্তার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত স্থানান্তর করে দেন। সাময়ীক চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে তাদের মেয়ে।
শুক্রবার রাতে তার লাশ নিয়ে আসা হয় পিতার বাসার মৌলভীবাজারস্থ কাশিনাথ সড়কের ইসরাইল মিয়ার স্থাপনায়।
এসময় শত শত উৎসুক জনতা ভিড় জমান। এসময় আলাপচারিতা করতে দেখা যায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবীরকে। পরে ওই রাতেই লাশ নিয়ে যাওয়া হয় আবার রাজনগরের স্বামীর বাড়ি। ওখানে হিন্দু ধর্মের রীতি অনুয়ায়ী তাকে দাহ করা হয়।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছালেক জানান, ওই ঘটনায় মিতু’র পিতা পান্ডব দাশ শাশুড়ি সাধনা দেব, চয়ন দেব ও ননদসহ আরো বেশ কজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি দরখাস্থ দিয়েছেন। পিতার অভিযোগ যৌতুকের দাবী জানিয়ে মিতুকে বিষপ্রক্রিয়ায় হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে আমরা নিভীড় তদন্ত করি। এক পর্যায়ে মিতু দাশের মোবাইল টেকিং করে আমরা জানতে পারি, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আব্দালপুর এলাকার লোকেশ দেব’র পুত্র চয়ন দেব’র সাথে তার সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কেও জের ধরে সে বিষ পান করে। তার মোবাইলের বিশদ তথ্যউপাত্ত আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। উল্যেখ্য, দুই বছর আগে রাজনগর উপজেলার চাটুরা গ্রামের মৃত বিনয় দেব’র পুত্র বাহরাইন প্রবাসী বিপুল দেব এর সাথে বিয়ে হয় মিতু’র। এর আগে বিপুল আরেকটি বিয়ে করে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com