রাজনগরে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি

March 12, 2025,

শংকর দুলাল দেব : রাজনগরে মাথিউড়া চা বাগানের শ্রমিকরা বকেয়া মুজুরী ও বোনাসের দাবিতে কর্ম বিরতি পালন করেছে। ১২ মার্চ বুধবার বাগানের শ্রমিকরা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করে। এছাড়াও লাল পূজার আগে ৪০% বোনাস দেয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকরা তা পায়নি। এতে শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে মালিক পক্ষ ২০% বোনাস প্রদানের আশ্বাস দিলেও তা তারা মানতে নারাজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের মাথিউড়া চা বাগানে ৬৩৫জন চা শ্রমিক রয়েছে। এসব শ্রমিকরা বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের সাপ্তহিক মুজুরী পাচ্ছেনা। এদিকে চা শ্রমিকদের ‘লালপূজা (পাগুয়া)’ উপলক্ষে ৪০% বোনাস দেয়ার কথা থাকলেও তাও পাচ্ছে না। পূজা শুরুর একদিন বাকি থাকলেও বোনাসের টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। ১২ মার্চ বুধবার সকাল থেকে শ্রমিকরা ম্যানেজারের বাংলোর সামনের খেলার মাঠে জড়ো হয়ে এ কর্মবিরতি পালন করে। এব্যাপারে গত ২০ শে ফেব্রুয়ারী শ্রমিকরা জেলা প্রশাসন সহ বাগান কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। এতে তারা বকেয়া ও বোনাস না পেলে বাগানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণ হবে বলে জানিয়েছিল। তবে বাগান কর্তপক্ষ বলছে, লোন ছাড় না হওয়ায় তারা শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা ও বোনাস পরিশোধ করতে পারছে না।
মাথিউড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রিম গৌড় জানান, বিগত ৭ সপ্তাহের বকেয়া পাওনা রয়েছে। বারবার জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। পূজার শুরু আগে তাদের ৪০% বোনাস দেয়ার কথা। তাও তারা পায়নি। তিনি দাবী জানিয়েছি বলেন, হয় তাদের বকেয়া পরিশোধ, না হয় বোনাসের পুরো টাকা পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু কোম্পানি শুধু লোনের কথাই বলছে। লোন পেলে তারা টাকা দেবে। এভাবে চলতে থাকলে শ্রমিকরা না খেয়ে মারা যাবে।
এ ব্যাপারে মাথিউড়া চা বাগানের ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, শ্রমিকদের বয়েকয়া মুজুরী পাওনা রয়েছে। প্রতি বছর লালপূজার আগে ৪০% বোনাসও দেয়া হয়। কিন্তু অর্থ স্বল্পতার কারণে কোম্পানি তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছেনা। আমরা লোন সেকশেনের জন্য অপেক্ষা করছি। লোনের টাকা পেয়ে গেলে তাদের সব বকেয়া পরিশোধ করা হবে। এছাড়াও বর্তমানে বোনাস ২০% দেয়ার আশ্বাস দিয়েছি। কিন্তু তারা মানছে না।
এ ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে কেউ এ ব্যাপারে জানায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com