রাজনগরে ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ ৪ জন গুরুতর আহত
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2023/12/Untitled-2-copy.jpg?fit=800%2C445&ssl=1)
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের শ্যামেরকোনায় পূর্বের শত্রুতার জের ধরে নিজ ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ নভেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে। ৪ থেকে ৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। স্থানীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে গুরুত্বর আহত মকুল কপালী জানান, ঘটনার দিন সকালে পূর্বের কয়েকটি ঘটনার ন্যায় একই এলাকার নরেন্দ্র চন্দ্র কপালীর পুত্র সুধন্য কপালী, সুধন্য কপালীর পুত্র দীপন কপালী, লিপন কপালী ও সুধন্য কপালীর স্ত্রী মঞ্জু রানী কপালী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের এ হামলায় গুরুত্বর আহত হন মিলন কপালী, স্বর্ণলতা রানী কপালী, মকুল কপালী ও শ্রীজিব কপালী। স্থানীরা আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে মিলন কপালীর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২৯ নভেম্বর সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠান।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, হামালাকারীর বাড়ী ও আহতদের পুরানবাড়ী একই বাড়ী। বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পুরানবাড়ী তাহাদেরকে দিয়ে অন্য জায়গা বদলী দেওয়ার জন্য বলে আসছে। এতে অস্বীকৃতি জানালে এ নিয়া বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ৬/২/২৩ইং সন্ত্রাসীরা ঘরের তালা ভাঙ্গিয়া জোরপূর্বক প্রায় ১,৬৪,০০০/- টাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রাজনগর থানায় অভিযোগ করিলে এরা প্রভাবশালী থাকার কারণে মামলা গ্রহন করেনি পুলিশ। পরবর্তীতে আপোষের কথা বলে আপোষও হয় নাই। এ অবস্থায় ঘটনার তারিখ ২৮ নভেম্বর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পুরান বাড়ীর দক্ষিণের সীমানার প্লাস্টিকের নেটের বেড়া দা, কুড়াল, ইত্যাদি দিয়া কুপিয়ে কাটা শুরু করে। মিলন কপালী দেখতে পেয়ে আগাইয়া গেলে সন্ত্রাসীরা খুন করা হুমকি দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা দা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে অন্যন্যরা এগিয়ে গেলে একই ভাবে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় আহতদের চিৎকারে আশপাশ হইতে লোকজন জড়ো হইলে সন্ত্রাসীরা চলিয়া যায়। নিরিহ এই পরিবার দীর্ঘদিন থেকে ন্যায় বিচার চেয়ে থানা, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে ধরণা দিয়ে কোন সহযোগীতা পাননি।
উল্লেখ্য যে, সন্ত্রাসীরা এখনও প্রকাশ্যে নানা ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে নিরিহ এই পরিবার।
মন্তব্য করুন