শ্রীমঙ্গলে অনলাইন পোর্টাল আরপি নিউজের ১১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
এহসান বিন মুজাহির॥ শ্রীমঙ্গলে অনলাইন পোর্টাল আরপি নিউজ এর ১১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ‘গণমাধ্যমের ভূমিকা ও জনপ্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ নভেম্বর রোববার বিকেলে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ আবু জাফর সালাউদ্দিন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর শারমিন জাহান, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সদস্য ও কালের কন্ঠ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উপজেলা সভাপতি কমরেড দেওয়ান মাসুকুর রহমান, এনজিও সংস্থা আইডিয়ার কো-অর্ডিনেটর পঙ্কজ ঘোষ দস্তিদার, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান দিপু, জাতীয় শ্রমিক লীগের উপজেলা আহ্বায়ক, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন শাহিন, সাংস্কৃতিক কর্মী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক কাজী কামরুল ইসলাম বাবুল, দৈনিক ডেসটিনির উপজেলা প্রতিনিধি ডা: রাধাকান্ত দাস, জাতীয় ছাত্র সমাজের উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও জাতীয় পার্টির মৌলভীবাজার জেলা শাখার সহসভাপতি মিজানুর রব, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দৈনিক করতোয়ার প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ সাগর, স্কুল ছাত্র তাহসানুল রব তানজিব প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যম যে ভূমিকা রেখেছে তা এক কথায় অতুলনীয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রচারিত উজ্জীবনী গান, সংবাদ, কথিকা, সাক্ষাৎকার, আলোচনা অনুষ্ঠান, সংবাদ বিশ্লেষণ মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলার সাধারণ মানুষকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে। মুক্তিপাগল মানুষের মনে মুক্তিচেতনার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করেছে। দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, সংবাদবিশ্লেষণ, সম্পাদকীয়, উপম্পাদকীয় সাধারণ মানুষকে শুধুই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সংগঠিত করে নি, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে বাংলার দামাল ছেলেদের অনুপ্রাণিত করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের পথ-নির্দেশনা দিয়েছে, বিদেশিদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রবল বিশ্বজনমত গঠন করেছে। দেশি গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিদেশি গণমাধ্যমও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য টাইমস, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, দ্য স্টেটস ম্যান, ফিন্যানসিয়াল টাইম, বিবিসি, টাইম ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধকে মুহূর্তেই ছড়িয়ে দেয় বিশ্বময়। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিশ্বজনমতকে বাঙালিদের পক্ষে আনতেও প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ফলে দিন দিন বেড়েছে আমাদের বন্ধুদেশের সংখ্যা। এক ঘরে হয়ে পড়েছে হানাদার পাকিস্তান। বিশ্বজনমত আগ্রাসী পাকিস্তানের বিপক্ষে যাওয়ায় পাক সেনাদের মনোবল ভেঙ্গে যায়। পক্ষান্তরে বিশ্বজনমত ও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা শক্তি-সাহস পেয়েছে, তাদের নৈতিক মনোবল ছিল ইস্পাতকঠিন। ফলে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন সহজ হয়েছে।
আমরা মনে করি, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও বৈষম্যহীন উন্নত এবং শক্তিশালী ও স্বাধীন বাংলাদেশকে উন্নতি-সমৃদ্ধির শিখরে নিয়ে যেতেও গণমাধ্যম একাত্তরের ন্যায় পথপ্রদর্শকের ভূমিকা রাখতে পারে। অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটা হয়।
মন্তব্য করুন