শ্রীমঙ্গলে শীতের আগমনী বার্তায় লেপ তৈরির ধুম পড়েছে

November 16, 2016,

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ শীতের আগমনের পদধ্বনিতে প্রকৃতি সেজে উঠেছে নতুন আমেজে। শীতের বুড়িটা কোনো কোনো এলাকায় জেঁকে বসার প্রস্তুতিও নিচ্ছে জোরেশোরে। মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। বাতাসে শুষ্কতার ছোয়া। দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত। কাক ডাকা ভোরে গাছপালা ও ঘাসের সবুজ গালিচায় মুক্তাবিন্দুর মতো শিশির পড়তে শুরু করেছে। হেমেেন্তর হিমেল হাওয়ায় জানান দিচ্ছে শীত আসছে। সাধারণ মানুষ শীত জেকে বসার আগেই লেপ-তোষক তৈরির প্রস্তুতি শুরু করায় মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পাড়া-মহল্লাই লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ। ছয় ঋতুতে বিভক্ত এই দেশে পৌষ ও মাঘ এই দু মাস শীতের ঋতু বলে পরিচিত হলেও বর্তমানে হেমন্ত ঋতুতে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছে। তাই শীতকে সামনে রেখে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় লেপ তুষোক এর দোকানে শীতের জন্য লেপ তুষোক বানাতে ধুম পড়ে গেছে। অনেকে পুরাতন লেপ তুষোক ভেঙ্গে নতুন ভাবে বানিয়ে নিচ্ছেন লেপ তুষোক। আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে নতুন ভাবে তৈরী করাচ্ছেন লেপ তুষোক।
শীত মৌশুমের শুরুতেই দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও মধ্যরাতে ঠান্ডা বা শীত অনুভুত হয়। কয়েকদিন যাবত শীত পড়তে শুরু করছে। দিন দিন শীত বাড়তেই থাকবে। আর এ কারনে আগে থেকেই লেপ তোষকের দোকানগুলোতে নতুন অর্ডার বা পুরনোগুলো মেরামতের অর্ডার দিতে ভীড় করছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে শীত জেকে বসার আগেই তা মোকাবেলা করার জন্য অধিকাংশ হাট বাজারের লেপ তোষকের কারিগর ও পাড়া-মহল্লার  মানুষ বাড়িতে বাড়িতে লেপ-তোষক তৈরি করছে। দিন যতই গড়াচ্ছে শীত ততই বেশি পড়ার আশংকায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষেরা নতুন নতুন লেপ তৈরি করছে।
লেপ তৈরির কারিগররা শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে অর্ডার নিলেও যথা সময়ে সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। লেপ-তোষক অর্ডার দিতে আশা মানুষের তারাহুরার কারণে উপজেলার সিন্দুরখান, সাতগাওঁ, মির্জাপুর, শাসন, ভুনবীর বাজারের শোরুমের ফাঁকা জায়গায় ক্রেতাদের উপস্থিত আর কারিগরদের ধুনুক দিয়ে তুলা ফাটানোর সরগরমেই যেন বলে দিচ্ছে লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে।
আগমনী  শীতের কারণে তুলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার তুলা ব্যবসায়ীরা দোকানীদের কাছে সরবরাহ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি শিমল তুলা ২শত ৭০ টাকা থেকে ২শত ৯০ টাকা, মিলের তুলা ৪৫ টাকা, কারপাস তুলা ১শত ৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
উপজেলার মির্জাপুর বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা জানান, তুলা, কাপড়, সুতা ও অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪/৫ হাত মাপের মিলের তুলা দিয়ে তৈরি লেপ ১ হাজার ৫০ টাকা এবং তোষক ৮শত ৫০ টাকার মত খরচ পড়ে। আমাদের তেমন লাভ না হলেও পেশার তাগিদে এই কাজ করে আসছি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com