শ্রীমঙ্গলে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট : ২১ মন উজনের গরু বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা

বিকুল চক্রবর্তী॥ শ্রীমঙ্গলে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মনিটরিং এ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে হাটের বেচাকেনা। প্রথম দিকে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় গরুর দাম কমউঠ ছিলো। শেষ মুহুর্তে ক্রেতাদের সমাগম কিছুটা বাড়ায় গরুর দাম ও কিছুটা বেড়েছে। এতে খামারিদের হতাশা অনেকটা কেটেছে। এদিকে জেলার ৪৬টি গরুর হাটের পাশাপাশি অনলাইন হাটেও আশানুরুপ বিক্রি হচ্ছে।
এ দিকে জেলায় এ বছর গবাধিপশুর চাহিদা ছিলো ৭৩ হাজার যার মধ্যে উৎপাদন ছিলো ৬৮ হাজার। ঘাটতি ছিলো ৫ হাজার। তবে করোনার কারনে এ বছর চাহিদা কমেছে। বিশেষ করে প্রবাসীরা দেশে না আসায় এবার কুরবানীর সংখ্যা কমবে। যেকারনেএখনচাহিদা ও উৎপাদন মিলে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুস ছামাদ।
তিনি জানান, অনলাইনে ৯ হাজার ২৫৬টি গরু উঠে এখন পর্যন্ত বিক্রি হয় আড়াই হাজার গরু। অনলাইনের কারনে ও এবার বাজারে এবার গরু কম উঠেছে। তিনি জানান, জেলায় ২৩টি ভ্যাটে নারী সাজনের ভ্রাম্যমান টিম কাজ করছে।
এদিকে জেলার শ্রীমঙ্গলে অনলাইন বাজারে সর্বচ্চো ২১ মন উজনের একটি গরু বিক্রি হয় সাড়ে ৫ লাখ লাখ টাকা।আর ১৭ মন ওজনের আরেকটি গরু বিক্রি হয় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
শ্রীমঙ্গল প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: কর্ণ চন্দ্র মল্লিক জানান, এ বছর সর্বোচ্চ ২১ মন ওজনের গরু বিক্রির জন্য অনলাইন বাজারের তুলেন শহরের জালালিয়া রোডের আব্দুল আহাদ। তিনি এটি সাড়ে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন।তিনি জানান, উপজেলায় কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার চাহিদা ৮ হাজার ৬শ ৮টি। আর মজুদ আছে ৯ হাজার ২৪টি।৫ টি হাটে ও অনলাইনে এ গরু গুলো বিক্রি হচ্ছে।
জেলার সবচেয়ে বড় গরুর মালিক শ্রীমঙ্গল জালালিয়া সড়কের আব্দুল আহাদ জানান, তিনিএবারেরঈদেরজন্য২৭টাগরুপ্রাকৃতিকভাবেপরিচর্যাকরেন।এর মধ্যে ২১ মন ওজনের গরু সাড়ে ৫ লক্ষ, ১৭ মন ওজনের গরু ৪ লক্ষ ৮০ হাজার, ১৫ মন ওজনের গরু ৩ লাখ ৬০ হাজার, ১৩ মন ওজনের গরু দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি ২০টি গরু বিক্রি করেছেন। সবই অনলাইনে। এখন ও তার কাছে ৭/৮ মন ওজনের আরো ১১টি গরু রয়েছে। তিনি জানান, ২০ মন ও ১৭ মন ওজনের গরু ক্রয় করেছেন ঢাকামির পুরের সজল মিয়া। অপর দিকে শ্রীমঙ্গল আসিফ ডেইরী ফার্ম এর মালিক রায়হান উদ্দিন আসিফ জানান, তিনি গত দেড় বছর পরিশ্রম করে তার ফার্মে বাহাদুর নামে একটি ডেকা গরু পালন করেন। তার উজন হয়ে ছিলো প্রায় ১৩ মন। অনলাইনেদেখেক্রেতাতারবাড়িতেযায়। এটি বিক্রি করেছেন ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এদিকে এবার কেজি দরে ও গরু বিক্রি করেন এক খামারী। শ্রীমঙ্গল পূর্বাশা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ জানান, কোরবানীর জন্য তিনি ১০টি গরু প্রস্তুত করেন। এর মধ্যে বড় গরুগুলো ৪৮৫ টাকা কেজি ও ছোট গুলো ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন কেজি দরে বিক্রি করায় ক্রেতার সাথে তার দামদর করতে হয়নি। সহজেই তা বিক্রি হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন