শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় হরিজন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ শ্রীমঙ্গল পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত পরিছন্ন কর্মীরা (হরিজন সম্প্রদায়) পানি, স্যানিটারি ল্যাট্টিন, ঝড়ে পড়া ঘর মেরামত সহ বিভিন্ন দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার ২৪ মে দুপুরে ঝাড়ু, পনির কলস, বালতি, লোটা-বাটিসহ পৌরসভার সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক হরিজন সম্প্রদায় নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। প্রায় ঘন্টা খানেক পৌরসভায় অবস্থান নেওয়ার পর পরে তারা পৌরসভার কর্মকর্তাদের সাথে তারা কথা বলে হাতে ঝাড়ু নিয়ে শ্লোগান দিয়ে দিয়ে পৌরসভা ত্যাগ করেন। এসময় তাদের সাথে ছিল।
এরা সবাই শহরতলীর হরিজন পল্লীর বাসিন্দা। তারা পৌর শহরের ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে পরিস্কার পরিছন্নতার কাজ করে।
পরিছন্ন কর্মীদের দাবী, প্রায় ১ মাস পূর্বে তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পৌরসভা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল, কিন্ত আজ পর্যন্ত হয়নি। এছাড়া তাদের বেতনভাতাও কম, সেটাও বৃদ্ধি করতে পৌরসভাকে অবহিত করেছে। কিন্ত পৌরসভা কোন কিছুই কর্নপাত করছেন না বলে তাদের অভিযোগ।
হরিজন পল্লীর সর্দার রঞ্জন হরিজন বলেন, আমরা শহরের সব ময়লা আর্বজনা পরিস্কার পরিছন্ন করি, কিন্তু আমরাই থাকি সবচেয়ে খারাপ পরিবেশে। আমাদের ভালো শৌচাগার নেই, বিশুদ্ধ পানি নেই, আমাদের ঘরগুলোর অবস্থা ও খুবই সুচনীয়। আমরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে থাকি। পৌরসভা থেকে আমরা যে মজুরী পাই তা খুুবই কম। এই মজুরী দিয়ে আমাদের সংসার চালানো কষ্টকর। পৌরসভার কাছে টয়লেট, পানির ব্যবস্থা,ঘর নির্মান করে দেওয়ার জন্য আমরা বার বার বলে আসলেও তারা এগুলো গুরুত্বই দিচ্ছে না।
এদিকে উপজেলার ইউএনও স্যার আমাদের জন্য পানির ব্যবস্থা ও টয়লেটের ব্যবস্থা করার জন্য ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছেন। পৌরসভা থেকে এই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তারা নিজেও কাজ করবে না অন্য জনকেও কাজ করতে দিবে না। এই কারনে আমরা আজ ঘটি বাটি সব নিয়ে পৌরসভায় একত্রিত হয়েছি। আমাদের দাবী না মানলে আমরা কাল থেকে কাজ করা বন্ধ করে দিবো।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো.জহিরুল ইসলাম, গত ২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে ৬০টি আধুনিক ঘর নির্মান করে দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিলো। এই ঘর গুলোতে টয়লেট, পানি সব ব্যবস্থা থাকবে। করোনা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারনে বরাদ্ধ আসে নি। তাই কাজগুলো করা হয়নি।
উপজেলা পরিষদ থেকে উদ্যোগ নিয়ে করা কাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, পৌরসভার ভিতরে কাজ করতে চাইলে পৌরসভাকে জানাতে হবে।
মন্তব্য করুন