সন্ত্রাসী হামলা ও ঘর ভাংচুর, সংবাদ সম্মেলনে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার অভিযোগ

July 16, 2023,

স্টাফ রিপোর্টার॥ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলা ও ঘর ভাংচুরের অভিযোগে লন্ডন প্রবাসী আপন চাচার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ভাতিজা জামিল মিয়া।

রোববার ১৬ জুলাই সকালে প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী জামিল মিয়া মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ছয়কুট গ্রামের বাসিন্দা।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আপন চাচা লন্ডন প্রবাসী মানিক উল্লার সাথে দীর্ঘদিন ধরে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা চলমান আছে।

ইতোপূর্বে চাচা মানিক উল্লা তাঁর ভাগীনা হাবিবুর রহমান নুহেলকে দিয়ে তাদের উপর চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন।

মানিক উল্লা তাদের পৈত্রিক বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনি ও কমলগঞ্জ থানা পুলিশ দিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

দেওয়ানী মামলা চলাবস্থায় পুলিশ দিয়ে হয়রানী বন্ধের ও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার বরাবরে গত ২০ জুন অভিযোগ করেছেন জামিল মিয়া। কিন্তু এর কোন প্রকার প্রতিকার এখনও পাননি বলে তাঁর অভিযোগ।

শুক্রবার ১৪ জুলাই রাতে চাচা মানিক উল্লার ভাড়া করা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র (রাম দাঁ, ডেগার) ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

জামিল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রথমে আমার ঘরের বিদুৎ মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। আমি আমার পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হতবিম্বল হয়ে চিৎকার দিলে সন্ত্রাসীরা আমাদের আক্রমন করে।

সন্ত্রাসী বদরুল হাতে থাকা কাঠের রুল দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাবির মাতায় আঘাত করে এবং কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মেরে মধ্যযোগীয় কায়দায় রক্তাক্ত করে।

আমার অসুস্থ মাকে লাথি ও থাপ্পর মারে এখন উনি হাটতেও পারছেন না। আমার ছোট ছোট ভাতিজা-ভাতিজি তাদেরকেও ছাড়েনি ওরা। সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র আমার গলায় ধরে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং চিৎকার করলে প্রাণে ফেলার হুমকি দেয়।

আমি ভয়ে চিৎকার দেই নাই। আর ৮/১০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ও ঘরের টিনের বেড়া রামদা দিয়ে কুপিয়ে ভাংচুর করে।

ঘর ভেঙ্গেছে, শুধু তাই না আমার ভাই শামীম ভেবে বাড়ীর সামনে থাকা অপরিচিত লোককে এমন ভাবে কুপিয়েছে যে থাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানিতে হস্তান্তর করা হয়।

এমন নৃসংস সন্ত্রাসী হামলা কখনোই আর হয়নি। ঘটনার বিষয়ে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ও মোবাইল ফোন ৪টি এবং মামলার কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।

সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন আসলে হাতে থাকা বন্ধুক দিয়ে গুলি ছুড়ে গাড়ীতে উঠে মানিক উল্লার বাড়ীতে চলে যায়।

কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গ্রামবাসীকে সড়িয়ে দিয়ে সন্ত্রাসীদেরকে মানিক উল্লার বাড়ী থেকে চলে যেতে সহায়তা করেছে বলে এমন অভিযোগ করেন জামিল মিয়া।

জামিল মিয়া আরও অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় ৪টি গাড়ী নিয়ে এমন হামলা করেও সন্ত্রাসীরা পালিয়েছে।

পুলিশের এমন ভূমিকা নিয়ে আমরা ও আমাদের গ্রামবাসী অসন্তুষ্ট। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com