সেনিটেশন সমস্যায় জর্জরিত শহরের গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
![](https://i0.wp.com/www.patakuri.com/wp-content/uploads/2024/02/DSC00066.jpg?fit=800%2C445&ssl=1)
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি মাত্র টয়লেট তাও শিক্ষকদের জন্য। শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে কঠিন ভাবে বারণ করা হয়েছে।
জানা যায় বিদ্যালয়ের ভবন গুলো অধিক পুরাতন হওয়ায় এই ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। তাই অস্থায়ী ভবন হিসেবে সাময়িক সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য ৮নং ওয়ার্ডের একটি বিল্ডিং ভাড়া নেওয়া হয়। তবে এই পুরো বিল্ডিং এ রয়েছে একটি মাত্র টয়লেট তাও আবার বিদ্যালয়ের শিক্ষকের জন্য বরাদ্দ। শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে পারবেন না।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কাছে টয়লেটে যাওয়ার কথা বললে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বলেন যাদের বাসা বিদ্যালয়ের ধারে কাছে তাদের বাসায় চলে যেতে। অথবা বিদ্যালয়ে আসার আগে বাসা থেকে টয়লেট করে আসতে এবং টিফিন টাইমে বাসায় গিয়ে টয়লেট করার করার কথা বলেন।
এ বিষয় সচেতন অভিভাবকদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের বাচ্চারা শিক্ষকের কাছে টয়লেটে যাওয়ার কথা বললে শিক্ষক তাদের বলেন রাস্তায় গিয়ে পস্রাব করে আসতে অথবা বাসা আশে পাশে হলে বাসায় চলে যেতে বলেন। ক্লাস টাইমে শিক্ষার্থীরা বাসায় চলে গেলে এই যে শিক্ষারমান বিনষ্ট হবে তার দায় কে নিবে।
অপর অভিভাবক বলেন শিক্ষকরা যে বলেন যাদের বাসা আসেপাশে তারা বাসায় গিয়ে টয়লেট করতে হবে। কিন্তু যাদের বাসা দুরে তারা কিভাবে টয়লেট করবে। এটি কতটুকো যুক্তিসঙ্গত।
আরও বলেন শিক্ষার্থীরা বাসায় যাওয়ার সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই দায়ভার কে বহন করবে। আমাদের সন্তান দের এরুপ ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে না পাঠানোই ভালো।
বিষয়টি নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তাদের কাছে জানতে চাইলে বলে আমরা টয়লেটে যাওয়ার কথা বললে মেডাম বাসায় যাওয়ার কথা বলেন তাই আমরা ভয়ে টয়লেটে যাওয়ার কথা মেডাম কে বলিনা।
আবার অনেক শিক্ষার্থীরা বলে সামনের দিন থেকে আমরা আর স্কুলে আসবো না একেতো ক্লাস হয় না বিদ্যালয়ে রয়েছেন ৬জন শিক্ষক তার মধ্যে ৩জন শিক্ষক খেলাধুলা এবং হইচই নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন ফলে বাকি তিনজন শিক্ষকের দ্বারা ছয়টি ক্লাস নেয়া অসম্ভব তাই ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দ্বারা আমাদের ক্লাস করানো হয়।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার বলেন, আমরা বর্তমানে বিদ্যালয়টি নিয়ে অনেক সমস্যার মধ্যে রয়েছি। কিন্তু কোনো শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের টয়লেটের জন্য বাসায় যাওয়ার জন্য বলবে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বর্তমানে একটি মাত্র টয়লেট থাকার কারণে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের লাইন ধরে টয়লেটকরানোর জন্য। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী তা করতে না পেরে হয়তো বা রাস্তার মধ্যে করে ফেলে।
মন্তব্য করুন