জুড়ী টেকনিকেল কলেজের ছাদ ঢালাইয়ে কাদামাখা নিুমানের পাথর ব্যবহার : কাজ বন্ধ
আব্দুর রব॥ জুড়ীতে নবনির্মিতব্য টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাদ ঢালাইয়ে কাদা মাখা নিুমানের পাথর ব্যবহার করায় ঢালাই কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগে ২৩ জুন মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদকর্মী ও ইউএনও’র প্রতিনিধিরা ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ঢালাই কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থানীয় উপ-সহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজসে নির্মাণ কাজে নানা অনিয়ম করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
জানা গেছে, ১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে জুড়ী উপজেলার ভাবনীপুর এলাকায় ‘জুড়ী তৈমুছ আলী টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ’ এর একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েষ্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড এমএম ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০১৮ সালের শুরুতে প্রধান অতিথি হিসেবে নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতীয় সংসদের তৎকালিন হুইফ ও বর্তমান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি। ঠিকাদারের লোকজন মঙ্গলবার সকালে মুল একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলার ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে কাদা মাখা নিুমানের পাথর দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ চলছে। এ অভিযোগে দুপুর ১২টায় ইউএনও’র প্রতিনিধি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওমর ফারুকসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাদা মাখা নির্ধারিত সাইজের চেয়ে বড় মাপের পাথর দিয়ে ঢালাই কাজ চলার সত্যতা পান। এরমধ্যে ছাদের কয়েকশ ঘনফুট ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এতে অল্প দিনেই ছাদ চুয়ে পানি পড়ার আশংকা রয়েছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সাঈদ রাহি ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে নির্মাণকাজে অনিয়ম করার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পাথর পরিস্কার না থাকায় ঢালাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। পাথরের গুনাগুন পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসীম চন্দ্র বণিক জানান, ঢালাই কাজে কাদা মাখা নিুমানের পাথর ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তিনি এর সত্যতা পেয়েছেন এবং নমুনা স্বরূপ কিছু পাথর সংগ্রহও করেছেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন।
মন্তব্য করুন