বাংলাদেশকি আসলে চতুর্দিকে ধরা পড়ে গেছে?

April 26, 2017,

সাদেক আহমেদ॥ কোন এক গানের কলি এখন আমার খুব মনে পড়ে। যেমন-আমি নিজের মনে নিজেই যেন গোপনে ধরা পড়েছি, ………….।
এর পর অনেক কথা অনেক গান বাংলাদেশে লেখা হয় এবং গাওয়া হয়। যারা একটু দেশ প্রেমিক, যাদের হৃদয় আছে তাদেরকাছে বাস্তব অবস্থার সাথে গানের কথার সাথে হৃদয়ে ঝাকুনী শুরু হয় তখনই তারা লেখার তাগিদ অনুভব করে। বাংলাদেশের নিত্য দিনের কাহিনী কিভাবে কাগজের পাতায় তুলে ধরবো, কিভাবে কষৃকের কথা জনসভায় ভাড়ায় খেটে ট্রাক ভওে নিয়ে কেন দিচ্ছেনা হাত তালি তাদেরযে পেট খালি। মাত্র রূপন করে এসেছিলো জমিতে বুরো ধানের চাড়া বা হালি।
পেটে যখন ক্ষুধা পেট খালি, নেতা ধমকের সুওে পাতি নেতাকে বলছিলো হাত তালি কেন পড়ে না শব্দ কেন শুনা যায় না। তখনই কৃষকের জবাব ছিলো পেট  খালি কেমন কওে দিবে হাত তালি, হাতে যে বেদনা সদ্য রূপন করে এসেছে বুরো ধানের হালি। এখন যে কথা বলতে চাই উজানের দেশ থেকে একাধারে পানি নেমে আসায় নদী পথ সংকোচিত হওয়ায় বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ২ লক্ষ হেক্টর জমির বুরো ধান পঁচে পানির নিচে চলে যায়। তাই কৃষকের দুঃখ দূও করবে কে? দেখতে দেখতে সব শেষ হয়ে গেল এ যে বাংলাদেশ। আমি১৫দিন পূর্বে হাওর এলাকায় দুধের ননী পনিরের জায়গা বলে খ্যাত অষ্টগ্রামে গিয়াছিলাম। বাজিতপুর পার হয়ে গোদারা ঘাট পার হয়ে দেখতে পেলাম মহামান্য প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদেও ঐকান্তিক চেষ্টায়  গোদারা ঘাট থেকে বাজিতপুর পর্যন্ত জমিনের উপর দিয়ে যে পিচ রাস্তা কওে দেওয়া হয়েছিলো সেথায় যুক্ত হয়েছিলো দুই দুইটা ব্রিজ। তবে রাস্তাটি যদিও পিচ শক্ত সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাই করা তবে এত নিচু দিয়ে মার্চ মাসেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। হয়তো ঠিকাদাররা সেখানে পুকুর চুড়ি নয় হাওর চুড়ি কওে ফেলেছে। দুইটা ব্রিজের একটা ব্রিজ চালু করতে পেরেছিলো ঠিকই তবে অষ্টগ্রামের দিকে কাষ্টুল এলাকার পাশে ব্রিজটি অনেক কোটি টাকায় করা। গত বর্ষায় চালু হওয়ার পূর্বেই গাড়ী উঠার আগেই ধসে পড়ে। আমিপড়েছিলাম ব্যবস্থাপনা বিভাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম নীতিই ছিলো পরিকল্পনা। আজ দূঃখ লাগে যখন দেখি চতুর্দিকে অব্যবস্থাপনা। এবং দীর্ঘ মেয়াদী সুষ্ঠ পরিচালনার অভাবে দেশ চলছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিকল্পনা হয় কিভাবে ঠিকাদাররা টাকা মারবে। যে দেশে গণতন্ত্র বা জনগণের কথা বলার অধীকার নেই সেখানেতো এরকম হবেই। যত ভোগান্তি জনগণ বা কৃষকের। আরেকটা রাস্তা মহামান্য প্রেসিডেন্ট –এর উদ্বোগে হয়েছে, মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত বিশাল সড়ক। তবে আশ্চর্য্যওে ব্যাপার হলো ঐ সড়কের নীচ দিয়ে হাওরের বৃষ্টির পানি নিষ্কাষন তথা বুরো ধান রক্ষার জন্য যতগুলো ব্রিজ কওে দেওয়ার কথা ছিলো তার ২০ ভাগের ১ ভাগও কওে দেওয়া হয়নি। তাই অষ্টগ্রামে উত্তর দিকের ৭ মাইল এলাকার বুরো ধান বৃষ্টির পানি নিষ্কষন ন া হওয়ায় ( রাস্তার কারণে ) এবার পাকা ধানও পানির  তলে তলিয়ে যেতে দেখেছিলাম। জনগণের চাপে অ্টগ্রামের টিএনও অনেকগুলো রাস্তার বাঁধ কেটে দিতে বাধ্য হন। তখন ঠিকাদার টিএনও-কে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। অথচ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যত পরিকল্পনা বা উন্নয়ন বাজেট আসুক কারা এটা বাস্তবায়ন করছে তাদের অভিজ্ঞতা আছে কিনা তারা কোথায় আগে ভাগে টাকা খরচ করতে হয়, জনগণের তা জানার কি অধিকার নেই। কারণ দুদকে কারো শাস্তি হয় না। কারণ ওদেও হাত যে বড়ই শক্তিশালি। রাজনৈতিক শেল্টার তো আছেই। তবে মিঠামইন অষ্টগ্রাম এর জন প্রিয় আমাদের মহামান্য প্রেসিডেন্ট- এর উদ্বোগকে সাধুবাদ জানাই। অষ্টগ্রামে ৭০০ বছর পূর্বে হযরত শাহজালাল (রঃ) একান্ত সহচর হযরত শাহ কুতুব উদ্দিন ইয়ামেনী (রঃ)-এর মাজার রয়েছে। এবং তাঁর সাথে মোগল আমলের একটা ঐতিহাসিক মসজিদও আছে। আড়ি যখন ছিলাম তখন দুধের কেজি ৪০ টাকা করে ছিলো। এই দুধ থেকে পনির সারা বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়।
কেন জাপান বা চীন বা বৃটেন এর সাথে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে তাদেও কষ্টার্জিত দুধ বাজিতপুর বা কুলিয়ার চর পর্যন্ত ফ্লাইওভার –এর মত বিশাল হাওরের উপর দিয়ে রাস্তা করে দিলে ক্ষতি কি?  এতে কৃষকরা তাদেও শেষ সম্বল গরুর দুধ, ননী, ঘি ও পনিরের সঠিক দাম পাবে। আমাদেও মহামান্য প্রেসিডেন্টও পনিরের খুব ভক্ত। এখন উত্তর দিকের মেঘালয় থেকে পানি চলে আসায় অনেকে বলে ইউরোনিয়ামের বিষাক্ত বর্জ তারা নদী পথে ভাটির দিকে ফেলে দেওয়ায় আমাদেরকে চতুর্দিকে মেরে ফেলার এ কোন চক্রান্তে কুটকৌশলে আমরা আটকা পড়েছি। আড়ি ফ্লাই ওভারের কথা কি বলবো অনেকে বলে আড়ি কোথায় থাকি। পূর্বে নাম ছিলো শান্তি নগর এখন তা সবার মূখে মূখে অশান্তি নগর। শীত কিংবা শুস্ক মৌসুমে ৮ /৯ বছর যাবত ফ্লাই ওভারের সপ্ন দেখতে দেখতে নিচে রাজ পথকি রাজধানীর রাস্তা না কি ময়লার নর্দমা কেউ পরোখ কওে বলতে পারবে না। বুঝতে পারে তখন যখন রিক্সা উল্টে সারা রাস্তা ও নর্দমার সমান্তরাল দূর্গন্ধময় পানির মধ্যে পড়ে যায়। আমরা আন্তর্জাতিক ভাবে একটা দেশের সাথে সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ায় বিশ্বেও বাকী দেশগুলো যারা সামরিক ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ সুনামের অধিকারী তাদেও রোশানলে পরেছি কিনা কে জানে। আমরাতো সবই দিয়ে এসেছি বদলা কি পেয়েছি। এতে কওে বৃহৎ জনগোষ্ঠি বা দেশ প্রেমিক সুশৃংখল প্রািতরক্ষা বাহিনীর আশা আকাঙ্খার একান্তভাবে প্রতিফলন ঘটেছে কিনা তাই ভাববার বিষয়। কারণ দেশের সাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত ও নিরাপত্তার সাথে প্রতিরক্ষা বাহিনী ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমরা ওদেও ঋণ নিয়ে যাতে জেনে শুনে বিষ করিনা পান, সেই রবীন্দ্র সংগীতের মতো। তবে একটি সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে এদেশের মানুষের জানার ও বুঝার অধিকার রয়েছে যদিও এমন একদিন আসবে যখন সত্যিকার দেশের লাভ হয়েছিলো কিনা, প্রতিরক্ষা বাহিনী শক্তি ও মনোবল বৃদ্ধি হয়েছিলো কিনা দেশবাসি জানতে পারবে ইন্শাআল্লাহ। তবে এ সরকার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য কি করছে তা জানিনা। তবে রাজধানীতে যেভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। জলাবদ্ধাতার কারণে জনজীবন বিপর্যস্থ। ব্যাকরণের পাঁচটি পদের সংগ্যার সাথে “পদে পদে যে বিপদ” তা ষষ্ঠ পদে সংযোজন হয়ে যায় কিনা তাই মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবু আমি, সরকারকে বলতে চাই যে সশ¯্র বাহিনীকে রাজধানীর বুকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনে ও রাস্তাঘাট উন্নয়নে নুণ্যতম ২০ বছরের পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট করা যায় কিনা? গ্রামেও দুর্গত হাওর এলাকায় রিলিফের নামে যেন হাওর চুরি না হয় সেথায় ও দেশ প্রেমিক সশস্র বাহিনীকে নিয়োগ করা একান্ত জরুরী। দেওবন্দের  মাদ্রাসা শিক্ষার আলোকে সত্যিকার ইসলামী কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার্থিদের সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছে তার জন্য আমি এ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ অত্যন্ত নিরীহ জনগোষ্ঠির বেশীরভাগ এতিম  শিক্ষার্থিরা উচ্চ শিক্ষা নিয়ে প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য করে সমাজে ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হবে তাদেও মেধা শিক্ষা কাজে লাগাবে দেশও উপকৃত হবে তাই সবার অংশ গ্রহণের মাধ্যমে এ দেশটা গড়ে উঠুক এই কামনা করি। আল্লাহ হাফেজ।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com