বড়লেখায় পর্যবেক্ষককে হ ত্যা চেষ্টার ঘটনায় সাবেক বনমন্ত্রীসহ ১৮ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মা ম লা

August 9, 2025,

আব্দুর রব : বড়লেখায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে ষাটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রের মুখে বিরোধী দলীয় প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল, জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সীল মারা, সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরীসহ ১৮ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

৭ আগষ্ট রাতে বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলাটি করেছেন মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক আব্দুন নুর তালুকদার। মামলায় বাদি ভোটকেন্দ্রে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারি আরো ২০/২৫ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন।

থানার ওসি মো: মাহবুবুর রহমান থানায় মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক প্রতিবেদন (এফআইআর) আদালতে প্রেরণ করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার এজাহারে বাদি গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও বড়লেখা উপজেলার গাজিটেকা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুন নুর তালুকদার অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মৌলভীবাজার-১ আসনে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নিজ এলাকার ষাটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বেলা ২ ঘটিকার দিকে গিয়ে দেখতে পান ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরমেয়র আবু ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভোটকেন্দ্র দখলে নেয়। আসামিরা দা, লাঠি, রাম কুড়াল, ডেগার, হকিস্টিক, ছুরি ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সীল মারতে থাকে। এর আগে বিরোধী দলীয় প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে বাদি নৈরাজ্যের প্রতিবাদ করায় এক আসামি তার মাথা লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়ে। এসময় বাদি মাথা সরিয়ে নিলে গুলির ছিটা লেগে তার কপালের বাম পাশে জখম হয়। প্রাণ রক্ষার্থে তিনি হাল্লা চিৎকার করলে অন্যান্য আসামীরা পুণরায় রাম দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জন আসামি ককটেল, হাত বোমা বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভোট কেন্দ্রে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এসময় তাদের হামলার বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর অসংখ্য কর্মী সমর্থক আহত হন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com