নিজের ঘরে বাতি জ্বালাও
বশির আহমদ : আজকের পৃথিবী যেন এক প্রতিযোগিতার সমাহার। এই যুগে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ এবং লেগে থাকার মানসিকতা। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টা জোরদার করা, মনিটরিং, দিকনির্দেশনা ও প্রেরণা জোগানোও অপরিহার্য।
অন্যের আলোকিত ঘর দেখে আফসোস না করে, নিজের ঘরকে আলোকিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা-ই বুদ্ধিমানের কাজ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এক একটি ঘরের মতো। এই ঘরের বাতি জ্বালাতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হয়,প্রশাসক, শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এমনকি শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও আন্তরিক সহযোগিতা দরকার।
দূর থেকে শুধু দেখা, অভিযোগ করা বা সমালোচনা করলেই প্রতিষ্ঠান এগোয় না; সমস্যার পাশে দাঁড়াতে হয়, সমাধানের চেষ্টা করতে হয়, একে অপরকে উৎসাহ ও প্রেরণা দিতে হয়।
আজ আমরা প্রায়ই দেখি,অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়ায় না, বরং দূর থেকে মন্তব্যের ঝড় তোলে। এটাই আজকের সময়ের বড় মানসিক সংকট।
এই সংকট কাটাতে হলে আমাদের হৃদয়ের জানালা খুলতে হবে, মনকে উদার করতে হবে। কারণ সফলতার ঘ্রাণ পেতে হলে সবাইকে অংশীদার হতে হয়-দূর থেকে নয়, পাশে দাঁড়িয়ে।
যেখানে বাধা, সেখানেই সমাধান লুকিয়ে থাকে। প্রয়োজন শুধু আন্তরিকতা আর সঠিক দিকনির্দেশনা।
অপমান, বঞ্চনা ও অমূল্যায়ন কর্মস্পৃহা কেড়ে নেয়, কিন্তু উৎসাহ, সম্মান ও যথার্থ মূল্যায়ন জাগিয়ে তোলে নতুন প্রাণ।
তাই সময় এসেছে, ‘অভিযোগ নয়, অবদান রাখার। সমালোচনা নয়, সহযোগিতা করার। অন্যের আলোকিত ঘর দেকে শুধু আফসোস নয় বরং নিজের ঘরে বাতি জালানোর’।



মন্তব্য করুন