হাওর বাঁচাতে বিকল্প ভূমিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে মৌলভীবাজারে গোলটেবিল বৈঠক

November 23, 2025,

স্টাফ রিপোর্টার : কাউয়াদীঘি, হাইল হাওর ও আথানগিরি পূর্বের হাওরে অপরিকল্পিত সোলার প্যানেল প্রকল্প স্থাপন উদ্যোগ এবং হাওর-প্রতিবেশ রক্ষার দাবিতে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২২ নভেম্বর শনিবার ‘হাওর রক্ষা আন্দোলন, মৌলভীবাজার’-এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স হলে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হাওর রক্ষা আন্দোলন মৌলভীবাজারের আহ্বায়ক আ.স.ম.ছালেহ সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর ইনভারয়নমেন্ট এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস)-এর উপ-নির্বাহী পরিচালক এ. এম. এম মোস্তফা আলী, জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, সিইজিআইএস-এর পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থায়ন) লে. কর্নেল সৈয়দ আফজালুল আবেদীন (অব.), সিলেট কৃষি বিদ্যালয়ের ওয়াটার এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর অধ্যাপক ড. নিতন কুন্ড ও সয়েল সাইন্স এর অধ্যাপক ড. এম এ কাশেম।

নির্বাহী সদস্য ও নাট্যশিল্পী শাহীন ইকবালের সঞ্চালনায়  গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব এম. খছরু চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য অফিসার ড. আরিফ হোসেন, পাউবি নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন অলিদ, সাবরেজিস্টার শংকর কুমার দেব, হাইল হাওরের কৃষক নেতা মো: খায়রুল ইসলাম, মৎস্যজীবী নেতা মিন্নত আলী, কাউয়াদিঘী হাওরের সামছুদ্দিন মাস্টারসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং হাওর রক্ষা আন্দোলনের ৭ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, মৌলভীবাজারের চা-বাগান, পাহাড়-টিলা, নদী-ছড়া, গাঙ্গ ও হাওর মিলি গঠিত এই ভূপ্রকৃতি জেলার পরিবেশগত ভারসাম্যের মূল স্তম্ভ। কিন্তু সম্প্রতি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি ছাড়াই কাউয়াদীঘি, হাইল হাওর ও পূর্বের হাওরে কৃষিজমি ক্রয়-বিক্রয় এবং সেখানে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের উদ্যোগ উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পূর্বের হাওরে ১০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরও ২৫ মেগাওয়াট  সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সরকার মৌলভীবাজার জেলা হতে ৫শ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, উন্নয়ন অবশ্যই জীববৈচিত্র্য, কৃষি ও মৎস্যসম্পদ রক্ষা করে হতে হবে। হাওর-ভূপ্রকৃতি   ধ্বংস করে নয়। কৃষক ও মৎস্যজীবীরা আশঙ্কা হাওরের জমি বেসরকারি কোম্পানির কাছে গেলে তাঁদের জীবিকা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বক্তারা বলেন দেশের সম্পদ সীমিত, জনসংখ্যা বেশি। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পরিবেশ রেখে যেতে হলে হাওর রক্ষা, সঠিক পরিকল্পনা, আইনের প্রয়োগ এবং রাষ্ট্রীয় ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা সৌরবিদ্যুৎ চাই, কিন্তু হাওর ধ্বংস করে নয়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com