আইপিএল খেলা নিয়ে রমরমা জুয়ার আসর  সম্পৃক্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরাও এপর্যন্ত আটক ১০ জুয়ারী

May 5, 2018,

হোসাইন আহমদ॥ ইন্ডিয়া প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) নিয়ে মৌলভীবাজারে জমে উঠেছে জমজমাট জুয়ার আসর। বিশেষ করে এ খেলায় সম্পৃক্ত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে এজেলার অধিকাংশ যুব সমাজ ও শিক্ষার্থী। অনেকেই এখন নিজের কর্মস্থল ছেড়ে জুয়ার পিছনে ঘুরছে। যার ফলে কিছু লোক অল্প দিনের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়েছেন। আবার কেউ কেউ নিস্ব হয়ে রাস্তায় নেমে পড়ছেন।

জানা যায়, জোয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক যুবক নানা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে। যার কারণে এলাকায় বাড়ছে নানা অপরাধ ও ছিনতাই। জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকেই নিজের সঞ্চয়কৃত টাকা জুয়ার দানে নিয়ে যাচ্ছেন। একটি বিশ্বস্থ সূত্র বলছে, নি¤œ আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষিত লোকেরাও জুয়ার সাথে জড়িত। বিশেষ করে কলেজের অনার্স লেভেলের শিক্ষার্থীরা এ কাজে বেশি জড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই রাতে লেখাপড়া ছেড়ে শহরের বিভিন্ন জুয়ার আসরে সময় কাটাচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, নামিদামী তারকারা যখন ব্যাট কিংবা বল করতে আসেন তখন প্রতি অভার কিংবা প্রতি রানে বড় অংকের জুয়া ধরা হয়। অথ্যাৎ গেইল, কোহলি, ভিলিয়ার্স, রোহিত শর্মা অথবা ডিজে ব্যাটস করতে উঠলে বলা হয় ওই অভারে আমার ব্যাটস ম্যান ১টি চক্কা মারবে অথবা ১টি চার মারবে। না মারতে পারলে আপনাকে আমি ২০ হাজার টাকা দিব। চক্কা অথবা চার মারতে পারলে আপনি আমি ২০ হাজার টাকা দিবেন। এভাবে ভালো ব্যাটস ম্যান ও বোলারের ক্ষেত্রে হাজার থেকে শুরু করে লক্ষ টাকা পর্যন্ত জুয়া ধরা হয়। বোলার মুস্তাফিজ, সাকিব, নারিন, রাশিদ খান, ইমরান তাহির, মারকান্ডি, চাহাল ও বুমরাহ সহ অন্যান্য ভালো বোলাররা বল করতে উঠলে একই ভাবে জুয়া ধরা হয়। বিভিন্ন প্রদেশের ক্ষেত্রেও একই ভাবে জুয়া ধরা হয়। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌর শহরের শাহ মোস্তফা রোড, লেইক রোড, সুলতানপুর পয়েন্ট, বেরীরচর এলাকা, দক্ষিণ কলিমাবাদ, বনশ্রী, চাঁদনীঘাট, কুসুমবাগ, চৌমুহনী পয়েন্ট, যোগীডর, বড়হাট ও শমসেরনগর রোড সহ বিভিন্ন হোটেল, দোকান ও বাসায় প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসে। এছাড়াও খোজ নিয়ে জানা যায়, জেলার অন্যান্য উপজেলার বাজার ও গ্রামগঞ্জেও জুয়ার আসর ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে।

পুলিশ জানায়, একাজে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গত কয়েক দিনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরতলির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১০ জুয়ারীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে মৌলভীবাজারের সচেতন নাগরিকরা বলেছেন, প্রশাসন এবং পুলিশ আরো আন্তরিক হলে এভাবে প্রকাশ্যে জুয়ারীরা বসার সাহস পেত না।

এবিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল আহম্মদ জুয়া খেলা হয় একথা স্বীকার করে বলেন, এপর্যন্ত আমরা কয়েক জনকে আটক করেছে। আমাদের সোর্স কাজ করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ফেলে অভিযান পরিচালনা করব।       

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com