জাতীয় বাজেটে চা শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

June 5, 2022,

স্টাফ রিপোর্টার॥ আসন্ন জাতীয় বাজেটে চা শ্রমিক ও জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে দুপুর ১টায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী ও সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ স্বাক্ষরিত সংগঠনের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি পেশ করা হয়। ৫ জুন রবিবার স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক ও চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অ্যাড. মঈনুর রহমান মগনু সহ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষের সঞ্চালনায় মৌলভীবাজার জর্জ কোর্টের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য কাজল রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ শুক্ল বৈদ্য, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সংগঠক লিটন সুত্রধর, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, অগ্রসর ও রপ্তানিমুখী একটি শিল্প হলো চা শিল্প। সিলেট বিভাগের একমাত্র প্রতিষ্ঠিত শিল্প যাকে বলা হয়। প্রতিবছর বাজেট আসে বাজেট যায় কিন্তু এই ১৭০ বছরের দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ এই মেহনতী চা শ্রমিকদের জীবনমানের কোন উন্নয়ন দেখা যায় না। ১২০ টাকা দৈনিক মজুরিতে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির সমাজে পরিবার চালানো অসম্ভব, কিন্তু মালিক তারা লাভ বজায় রাখছে আর কঠোর পরিশ্রম করে মালিককে লাভবান করে দিয়ে শ্রমিক তার ন্যায্য হিস্যাটুকু পাচ্ছে না। চা জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, চিকিৎসার কোন আয়োজনও নাই। তাই আমরা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ৫ টি দাবিকে সামনে রেখে আজ মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করতে যাচ্ছি। এই লড়াইয়ে সকল জনগণ যুক্ত হয়ে মজুরি বৃদ্ধি তথা ভূমির অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে বেগবান করবেন।
দাবিসমূহ;
১. চা শ্রমিকদের জন্য ভূমির বরাদ্দ দিয়ে স্বাস্থ্যকর স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা করা।
২. প্রত্যেকটি চা বাগানের স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহে পূর্ণ চিকিৎসার আয়োজন নিশ্চিত করা এবং হেলথ্ কার্ড প্রদানের মাধ্যমে হাসপাতাল সমূহে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
. প্রত্যেক চা বাগানে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় চালু করা। উচ্চ শিক্ষার্থী চা জনগোষ্ঠীর সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা করা।
. চা জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে সামাজিক সুরক্ষা তালিকায় যুক্ত করে নগদ সহায়তা / ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৫. চা শ্রমিকদের জন্য সরকারি খরচে পেনশন স্কিন চালু করা।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com