সীতাকুন্ডে লাইভ করা নয়নের কুলাউড়ার বাড়িতে চলছে মাতম

স্টাফ রিপোর্টার॥ যারা ফেসবুকে লাইভ করে আগুনের তথ্য দিচ্ছিল ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যারা কাজ করছিল তাদের জানা ছিলনা মৃত্যু অপেক্ষা করছে। এমনি ঘটনা ঘটলো চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে।
শনিবার ৪ জুন রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় সেখানে কর্মরত শ্রমিক অলিউর রহমান নয়ন ফেসবুকে লাইভ করার সময় নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের একটু দূরে থেকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন নয়ন। হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশের সব কিছু অন্ধকার হয়ে যায়। তারপর থেকেই দীর্ঘসময় নিখোঁজ হন তিনি। এক পর্যায়ে নয়ন মারা যান। রাত আনুমানিক ২টার সময় নিহত নয়নের লাশ আসে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে।
নয়নের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী এলকার আশিক মিয়ার পুত্র। পরিবারের ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে বড়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রায় ৪ মাস পূর্বে একই গ্রামের বাসিন্দা মামুন মিয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটে। এ সময় ফেসবুকে লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত দিচ্ছিল অলিউর। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে হাতের মোবাইল ছিটকে যায় নয়নের। তারপর চারদিকের আহাজারি, চিৎকার শোনা গেলেও অলিউর রহমান কোথায় কি অবস্থায় আছে তা জানা যায়নি। এদিকে আজ সকালে পরিবারের কাছে খবর আছে নয়ন মারা গেছে। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভাগ্য বদলে ৪ মাস পূর্বে চট্টগ্রামে যাওয়া বড় ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়েছেন বাবা আশিক আলী।
নয়নের চাচা সুন্দর আলী জানান, আমাদেরকে গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে যাবার জন্য বলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে নয়নের লাশ আনতে রওনা করেছি।
মন্তব্য করুন