কোদালীছড়ার নিম্নাঞ্চলে স্লুইচ গেইট এলাকায় কচুরিপনায় আটকে যাওয়ায় শহরের বাসা বাড়িতে পানি

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম কোদালীছড়া। এ ছড়ার নিম্নাঞ্চল হাওর অংশে অফিস বাজারের কাছাকাছি আজমেরুতে একটা স্লুইচ গেইটে কচুরিপনা আটকে গিয়ে পানির প্রবাহ বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এতে শহরের পানি নিষ্কাশনের ধীর গতি হওয়ায় পানি আটকে বাসা বাড়িতে উঠছে।
শুক্রবার ১৭ জুন সন্ধ্যায় মেয়র মোঃ ফজলুর রহমনের নেতৃত্বে কাউন্সিলর আসাদ হোসেন মক্কু, কাউন্সিলর নাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর ফয়সল আহমদ, কাউন্সিলর পার্থ সারথি পাল, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ প্প্পাু কচুরিপনা পরিস্কার করে দেন। এত পানি নিষ্কাশন দ্রুত বাসা বাড়ি থেকে নেমে যায়।
পৌর মেয়র ফজলুর রহমান জানান, কুদালি ছড়ার পূরো ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা তার দেখতে হয়। দেড় থেকে ২ কিলামিটার পৌর এলাকায় পড়েছে। অবশিষ্ট অংশ মোস্তফাপুর ও গিয়াসনগর ইউনিয়নে পড়েছে। ওই ২ ইউনিয়নে কচুরিপনার স্তুপ লেগে থাকে। ওই সব কচুরিপনার স্তুপ উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে সম্পৃত্তকরা গেলে জলাবদ্ধতা নিরসন সহজ হত।
তিনি আরও বলেন, মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকা, টিবি হাসপাতাল রোড, আরামবাগ, শমসেরনগর রোড, পূর্ব গীর্জাপাড়া এলাকার বাসা বাড়িতে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই পানি হানা দেয়। পৌরসভার এলাকার ড্রেন পরিস্কারের পর ৫-৬ দিন পরেই সেই ড্রেনের দিকে তাকালে মনে হয় এই ড্রেনে ১ বছরের মধ্যে পরিস্কারের কাজ হয়নি, কিন্তু পৌরসভার নাগরিক হিসেবে আমরা কতটুকু দায়িত্বটুকু পালন করছি আমাদের পরিবেশ আমরাই নষ্ট করছি কেউ ড্রেনের মধ্যে চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল,অনেকেই বাসার ময়লা আর্বজনা পলিথিনে পেছিয়ে ড্রেনে ফেলেন , মিষ্টির প্যাকেট, ঝাড়ু, জুতা সবকিছুই ড্রেনে ফেলেন এদের হাত থেকে ড্রেনকে রক্ষা করতে পারলেই আমাদের ড্রেন গুলা দেখতে অনেক পরিস্কার থাকবে।
প্রতিদিন ক্লিনসিটির গাড়ি ময়লা সবার বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার পরেও কি খুব জরুরি ড্রেনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলা।
মন্তব্য করুন