মৌলভীবাজারে যুবলীগের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দোকান কোটা দখল

January 14, 2017,

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর বাজারে দোকান কোটা দখল করে ইউনিয়ন যুবলীগের সাইন বোর্ড লাগিয়ে কার্যালয় বানানোর অভিযোগ করেছেন গিয়াস উদ্দিন ওরফে লেবু মিয়ার ছেলে দোকান মালিক মোঃ খয়রুল ইসলাম।
খয়রুল ইসলাম পূর্ব পুরুষ থেকে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান দাবি করে বলেন, মুখোশধারী কিছু লোক আওয়ামীলীগ ও যুবলীগরে নাম ব্যবহার করে জোরপূর্বক ভাবে তার দোকান দখলে নিয়েছে। এতে করে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে তারা।
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে ১৩ জানুয়ারি শুত্রুবার দূপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মোঃ খয়রুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গিয়াস নগর এলাকার এম. এ. মন্নান গংদের সাথে জমির মালিকানা নিয়ে জেলা জজ আদালতে মামলা চলছে। বিরোধপূর্ণ ভুমি দখলের উদ্যেশে একটি সাজানো মামলায় তাকে সহ আরো কয়েক জনকে ১৩ দিন জেলা কারাগারে বন্দি রেখে গিয়াসনগর ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার পুত্র গোলাম টিটু’র নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ইং রবিবার সকাল ৭টায় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের (১) এম. এ. মন্নানের পুত্র মোঃ সাজ্জাদুর রহমান মনাই ও মোঃ হেলাল মিয়া, মৃতঃ ছোফানদি মিয়ার পুত্র মোঃ আনকার মিয়া ও দিলু মিয়া, হামিদ মিয়ার পুত্র মোঃ জুনেদুর রহমান, শাহপুর গ্রামের মৃতঃ ইউছুফ আলীর পুত্র ইসতিয়াক আলী, আলফত মিয়ার পুত্র আলাকত মিয়া, রফিকুল ইসলাম এর পুত্র জামাল মিয়া, গিয়াসনগর গ্রামের মৃতঃ আনছার মিয়ার পুত্র পারভেজ মিয়া, মৃতঃ আব্দুল মজিদের পুত্র ছত্তার মিয়া, সজ্জাদ মিয়ার পুত্র সুফেল মিয়া, নাজিম মিয়ার পুত্র দুলাল মিয়া (২০) ও মৃতঃ আলীম উল্লার পুত্র নাজিম মিয়া সহ আরো কয়েক জন রাম-দা, রড, সাবল, লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় গিয়াসনগর বাজারস্থ খয়রুল ইসলাম এর মালিকানাধীন সিক্স এলিভেন ভেরাইটিজ ষ্টোর ও আর.এফ. টেলিকম নামীয় দোকানে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী খয়রুলের মায়ের কাছে।
খয়রুল ইসলাম আরো জানান তার মাকে হত্যার হুমকি দিয়ে দোকান তছনছ-ভাংচুর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। দেড় ঘন্টাব্যাপী তান্ডব চালিয়ে হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা, গ্রামীন, বাংলালিংক, এয়ারটেল ও রবি’র ১৫০টি সিম- যার বাজার মূল্য ২২ হাজার ৩শ ৫০টাকা, ৫০টি মোবাইলফোন সেট- যার বাজার মূল্য ২ লাখ টাকা এবং চাল, ডাল, চিনি, তেল, হলুদ, মরিচ, আলু, পিয়াজ, ময়দা, সিগারেট ও কসমেটিকসহ দোকানের যাবতীয় মালামালসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় খয়রুল ইসলামের নামীয়য় অগ্রনী ব্যাংক গিয়াসনগর শাখার, পুবালী ব্যাংক মৌলভীবাজার শাখার, ইসলামী ব্যাংক মৌলভীবাজার শাখার চেক বই, আমার ভাই বশিরুল ইসলামের নামীয় সোনালী ব্যাংক ভৈরববাজার শাখার, অগ্রনী ব্যাংক গিয়াসনগর শাখার ও গ্রামীন ব্যাংকের কাগজপত্র এবং দলিলপত্র নিয়ে যায়। হামলাকারীরা এভাবে সবমিলিয়ে তার উভয় দোকান থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ০১/০১/২০১৭ইং তারিখে মাননীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে পিটিশন মামলা (নং- ১/১৭ সদর, মৌলভীবাজার মডেল থানার নং- ১৮, তারিখ ঃ ১০/ ০১/ ২০১৭ইং) দায়ের করি।
উল্লেখ্য হামলাকারীদের সাথে আমাদের ১০০/২০১২ইং (সদর)নং স্বত্ত্ব মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিচার অনুকুলে নিতেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
খয়রুল ইসলাম তার বক্তব্যে আরো জানান, গিয়াসনগর ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার পুত্র গোলাম টিটু’র নেতৃত্বে সংঘটিত এ ঘটনার পর বিচারপ্রার্থী হলেও চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে কোন সুবিচার পাননি। ফলে নিরুপায় তারা মাননীয় আদালতে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হন। উল্লিখিত ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে হামলাকারীরা তাদের প্রাণে হত্যার হুমকী-ধামকি প্রদান করছে। যে কোন সময় হামলাকারীরা খয়রুল ইসলাম ও তার পরিবারেরর উপর আগ্রাসন চালাতে পারে। তিনি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এলাকার বর্তমান মেম্বার আওয়ামীলীগ নেতা আমান আলী, মোঃ ইব্রাহীম আলী ও হাছলিম মিয়াসহ এলাকার প্রায় শতাধিক লোক।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com