গ্রীণ হেলথ হাসপাতালের চুক্তির মেয়াদ এক বছর আগে অতিবাহিত : পরিচালকগণ দখল নিয়ন্ত্রণে নেন

July 16, 2017,

স্টাফ রিপোর্টার॥ গ্রীণ হেলথ প্রাইভেট হাসপাতাল জবরদখল প্রসঙ্গে বেলাল তালুকদার কর্তৃক মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ সম্মেলন এর প্রতিবাদ করেন মৌলভীবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গ্রীণ হেলথ হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী এমদাদুল হক মিন্টু।
১৬ জুলাই মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রীণ হেলথ হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী এমদাদুল হক মিন্টু। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন গত ১৩ জুলাই ২০১৭ইং, তার বিল্ডিংয়ে থাকা ভাড়াটিয়া বেলাল তালুকদার, আমার স্বত্বদখলীয় একক মালিকানাধীন তৃতীয়তলা এর টিনসেড গৃহে প্রাইভেট হাসপাতাল ব্যবসা করার নিমিত্তে ৩ বৎসরের জন্য অর্থাৎ- ০১/০৭/২০১৩ইং হইতে ৩০/০৬/২০১৬ইং সময়ের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জামানত এবং মাসিক ৫৫ হাজার টাকা ভাড়া ধার্য্যে দু’তলা/তিনতলা এবং টিনসেড গৃহে মাসিক ৮ হাজার টাকা হারে নিয়মিত ভাড়া প্রদান করিয়া আসিতে থাকিলেও তাহার কার্য্যকলাপ ভালো না থাকায় এবং তাহার কার্য্যকরণে গৃহের ক্ষতিসাধন করিয়া আসিতে থাকায় ভাড়াটিয়া চুক্তিনামার শর্ত মোতাবেক ২ দুই মাস পূর্বে তাহাকে ভাড়াটিয়াগৃহ ছাড়িয়া দেওয়ার তলব-তাগিদ দিয়া আসতে থাকি। তাহার সহিত আর ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা নবায়ন করি নাই।
বেলাল তালুকদার, ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা অনুযায়ী গৃহ ছাড়িয়া না যাওয়াতে পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, সাবেক পৌর কমিশনার রিয়াজ আহমদ, সৈয়দ নওসের আলী খোকন সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও এ বিষয়ে চেষ্টা-তদবির করিয়া ২ মাস সময়ের মধ্যে ভাড়াটিয়া গৃহ ছাড়িয়া যাওয়ার অঙ্গীকার করে, কিন্তু ছাড়িয়া যায়নি। প্রকৃত বিরোধ হলো গ্রীণ হেলথ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার ব্যবসার সংশ্লিষ্ট ২২ জন ডাইরেক্টর ও বেলাল তালুকদারের মধ্যে ব্যবসার হিসাব-নিকাশ ও অর্থ-আত্মসাৎ প্রতারণা ইত্যাদি নিয়ে ০৪/০১/২০১৬ইং তারিখ হইতে দ্বন্দ্ব। মালিকদের মধ্যকার দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব চলিয়া আসিতে থাকায় আমি নিরীহ গৃহের মালিক ষড়যন্ত্রের শিকার। শুধু তাই নয়, বেলাল তালুকদার বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট হইতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাওলাত নিয়ে তা আত্মসাৎ করে। বর্ণিত হাসপাতালের ডাইরেক্টরদের বৈঠক হতে সে পলায়ন করে এমনকি সঠিক সিদ্ধান্ত না দিয়ে পলায়ন করে আসায় বর্তমান ভাড়াটিয়া গৃহখানী ডাইরেক্টরদের দখল ও নিয়ন্ত্রণে আছে। বর্ণিত ডাইরেক্টরগণ বিগত ১১/০৭/২০১৭ইং তারিখে বর্ণিত ভাড়াটিয়া গৃহে বসিয়া বেলাল তালুকদারকে বহিষ্কার করেন এবং এর পূর্বে ১০/০৭/২০১৭ইং তারিখে জরুরী সভায় বসে বেলাল তালুকদারকে এম.ডি পদ হইতে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং টাকা উদ্ধারের জন্য আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতারণা ও চুরি এবং টাকা আত্মসাৎ করার জন্য আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
শুধু তাই নয়, তাহার বিরুদ্ধে বোর্ড-অব-ডিরেক্টরগণ মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, বেলাল তালুকদার আমার ভাড়াটিয়া গৃহের ভাড়া না দিয়া গৃহের ক্ষতিসাধন করায় ক্ষতিপূরণের টাকা না দিয়া এবং তাহার পার্টনারদের টাকা আত্মসাৎ এর জন্য আমার বিরুদ্ধে ১২/০৭/২০১৭ইং তারিখে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন চীফ-জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
ভাড়াটিয়া গৃহ আমি কখনও তলাবদ্ধ করি নাই এবং প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের কখনও বের করে দেই নাই। প্রকৃত বিষয় গ্রীণ হেলথ হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের অন্যান্য পরিচালকগণ ও পাওনাদার ব্যক্তিগণ তাদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন যাবত বেলাল তালুকদারকে তলব-তাগিদ দিয়া আসিতেছেন। হাসপাতালে ২২জন পরিচালক বেলাল তালুকদারের নিকট ব্যবসার হিসাব-নিকাশ, আয়-ব্যয় চাহিলে, বেলাল তালুকদার তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিগত ১০/০৭/২০১৭ইং তারিখে পরিচালকদের জরুরী সভায় হাসপাতালের এম.ডি পদ হইতে বেলাল তালুকদারকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ১১/০৭/২০১৭ইং তারিখে পরিচালকদের জরুরী সভায় বেলাল তালুকদারকে এম.ডি পদ থেকে এবং সাধারণ পরিচালকের পদ থেকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে পরিচালকগণ হাসপাতালের দখল নিয়ন্ত্রণে নেন।
সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বেলাল তালুকদার প্রেসকনফারেন্স এর মাধ্যমে আমার উপর মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য পেশ করায় আমি এর জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com