ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ ভাঙনের মুখে ৫ গ্রাম

September 1, 2019,

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারে মনু নদীতে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এতে সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার আশংকায় রয়েছে।
এমতাবস্থায় বালু উত্তোলন বন্ধ করে মনু নদীর অপর অংশকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসনসহ সরকারি দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। কিন্তু কেউই প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই সদর উপজেলার মনু নদীর দুর্লভপুর অংশে বালু উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এবছর তিনটি ড্রেজার দিয়ে ব্যাপক ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বেপরোয়া ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চাঁদনিঘাট ইউনিয়নের মমরুজপুর, আসিয়া, গদাধরভাগ, ঢেউপাশা ও বালিকান্দি গ্রামের বিভিন্ন অংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। এমনকি তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও নদীতে বিলিন হবার পথে। বালু মহালের ইজারাদাররা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কোন মানুষেরই অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এভাবে বালু উত্তোলন হতে থাকলে অচিরেই এই গ্রামগুলোর অনেকাংশ নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার আশংকা করছেন তারা।
এলাকাবাসী গোলাম কবির চৌধুরী, মো. ফয়জুল, ছুফান মিয়া, আজম মিয়াসহ অনেকেই বলেন, বালু যিনি ইজারাদার তিনি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ইচ্ছে মত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। আমাদের গ্রামের অনেক অংশ এখন বিলিন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে প্রাইমারি স্কুলও। তারপরও তিনি অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সারা গ্রামই বিলিন হয়ে যাবে।
এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা অফিসের সহকারি পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, “এ ধরণের কোন অভিযোগ এখনও পাইনি। বালু ইজারার বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখে। যদি কেউ জেলার প্রশাসনের অনুমতির বাহিরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সেই ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিব”।
তিনি আরোও বলেন, “বালু উত্তোলনের কারণে যদি পরিবেশে ক্ষতিকারক প্রভাব পরে। তাহলে আমরা জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করব, যে কি কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। পরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব”।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com