ভাঙ্গা রাস্তায় জনদুর্ভোগ চরমে ঝুকি নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত
সাইফুল্লাহ হাসান॥ দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়ায় মৌলভীবাজারের চৌমুহনা-মাতারকপন আঞ্চলিক মহাসড়কের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের। বেহাল সড়ক দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি আর ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন এ এলাকার চালক ও যাত্রীরা। খানাখন্দে ভরপুর এ সড়কটি যাত্রী ও চালকদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে পড়েছে। বর্ষা কাল শুরু হতেই চৌমুহনা – শমশেরনগরস্থ মাতারকাপন এলাকা পর্যন্ত ধাপে ধাপে রয়েছে ছোট বড় গর্ত। ভাঙ্গা এসব সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীগন ও যানবাহন।
এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা সহ শতশত যানবাহন যাতায়াত করে।
বিশেষ করে চুক্ষু হাসপাতালের রোগী, পাসপোর্ট অফিসে আসা জনসাধারণ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থী, বি.এফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশেষ করে শাহ মোস্তফা কলেজের সম্মুখে, মাতারকাপন চুক্ষু হাসপাতাল ও পাসপোর্ট অফিসের সম্মুখে, শিমুলতা বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সরকের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়েছে। এসব গর্তে জমে আছে বৃষ্টির পানি।
এসব গর্তে গাড়ীর চাকা পড়া মাত্রই ডানে বামে দোল খাচ্ছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন যাত্রীরা।
স্থানীয় ভূক্তভোগীরা জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাঝে মধ্যে সড়কের মাঝে গর্তগুলো সংস্কার করা হলেও সামান্য বৃষ্টির পানিতে ও প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাফেরা করায় অস্থায়ী সংস্কারের কাজ আর স্থায়ী হচ্ছে না, ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ছোট-বড় অনেক যানবাহন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে।
স্থানীয় ইমন খাঁন জানান, জরুরী ভিত্তিতে এসব রাস্তা সংস্কার করা সহ রাস্তায় জমে থাকা পানি নিস্কাশন করার জন্য ড্রেন তৈরি করতে হবে।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ জানান, আমরা শিক্ষার্থী। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এমন ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়ে একবার গেলে দ্বিতীয়বার যেতে ইচ্ছে হয় না। আমরা এ সড়কগুলোর দ্রুত সংস্কার করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীর নিরাপদে কলেজে যাওয়া- আসা করতে পারে।
শাহ মোস্তফা কলেজের শিক্ষর্থী আরিফুল ইসলাম রাব্বি বলেন, রাস্তার যে অবস্থা, কি বলবো! চলাচলের জন্য পুরোটাই অনুপযোগী। দ্রুত যাতে রাস্তাটি সংস্কার কাজ হয়, সেই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা উচিত।
টমটম চালক সোহেল আহমদ বলেন, পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়। ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে মন চায়না কিন্তু নিরুপায় হয়ে আমাদেরকে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
তিনি জানান, বড় বড় ঝাঁকুনিতে দুই একদিন পরপর গাড়ীর এই সমস্যা সেই সমস্যা দেখা দেয়।
এবিষয়ে মৌলভীবাজারের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। সপ্তাহের ভেতরে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন